রাসেলস ভাইপার কামড়ালে করতে হবে ৬টি কাজ
রাসেল ভাইপার সাপ কি, রাসেল ভাইপার কামড়ালে করনীয় কিরাসেল ভাইপার সাপ একটি বিশেষ গুরুতবপূন প্রজাতি, যা দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে বাস করে থাকে বিশেষত ভারতে উপমহাদেশে ব্যপকভাবে পাওয়া যায়। বর্তমানে বাংলাদেশে এই সাপের উপস্থিতি আগের থেকে অনেক বেশি।
এই সাপটি তার শক্তিশালি বিষ এবং স্বভাবের জন্য প্রিচিত,যা মানুষের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে।ভাইপার সাপ সাধরণত শুষ্ক অ স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে থাকে যেমন খোলা মাঠ,ঝপঝাড়,এবং কৃষি জমিতে বসবাস করে।এদের উপস্থিতি কৃষি জমি এবং গ্রামীণ এলাকায় বেশি দেখা যায়, যা স্থনীয়
ভূমিকা
জনগণের জন্য একটি বড় ভয়ের বিষয়।রাসেল ভাইপার সাপের বিষ অত্যন্ত শক্তিশালী এবং হিমটক্সিক হয়ায় এটি রক্তের কোষ এবং টিস্যু কে ক্ষতিগ্রস্ত করে। কামড়ানোর পর তীব্র ব্যথা, ফুলে যাওয়া, রক্তক্ষরণ , এবং রক্তের ঘনত্বের সমস্যা হতে পারে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নিলে মানুষ মারা যেতেও পারে। তাই রাসেল ভাইপার সাপের কামড়থেকে বাঁচতে এবং দ্রত চিকিৎসা নিতে হবে।
২৫ জেলায় ছড়িয়ে পড়ল রাসেলস ভাইপার
এক সময়ের বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া এই বিষধর সাপ রাসেল ভাইপার ক্রমেই যেন বেড়ে চলেছে দেশব্যাপী। বরেন্দ্র এলাকা ছেড়ে সাপটির খোঁজ মিকছে বরিশাল পটুয়াখালী , চাদপুর, এমনকি ঢাকার আশেপাশেও। চলতি বছর এ সাপের কেমড়ে মারা গেছেন ১০ জন।
নাম কেন রাসেলস ভাইপার
ব্রিটিশ শাসনামলে ভারত কাজ করতে এসেছিলেন স্কটিস সার্জন প্যাট্রিক রাসেল। ১৭৯৬ সালে তিনি এই সাপ সম্পকে গবেষনা করেন। তাই নাম অনুসারে এই সাপের নামকরণ করা হয় রাসেল ভাইপার। তবে স্থানীয়ভাবে চন্দ্রবোড়া ও উলুবড়া নামেও পরিচিত এই সাপটি। বাংলাদেশে প্রায় ১০০ বছর এ সাপের
অস্তিত্বের কথা জানা যায়নি। ২০১৩ সালে প্রথম রাজশাহী মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকেরা রাসেল ভাইপারের কামড় খাওয়া রোগী পান।
রাসেলস ভাইপার নিয়ে আতস্কিত নয় সচেতনতা বাড়াতে হবে
রাসেল ভাইপার নিয়ে আতস্কিত না হয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন অ জলবায়ু মন্ত্রণালয়। শনিবার ( ২২ জুন ) মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাসেল ভাইপারের উপস্থিতি উদ্বেগজনক হলেও এটি মনে রাখা গুরুত্বপূণ যে মানুষের সঙ্গে এই সাপের মুখমুখি হওয়ার সম্ভাবনা কম।
এই সাপ সাধারণত নিচু ভূমির ঘাসবন, ঝোপ জঙ্গল, বন, কৃষি এলাকায় বাস করে এবং মানুষের বসতি এটিয়ে চলে । সাপটি মেটে রঙের হয়ায় মাটির সঙ্গে সহজে মিশে যেতে পারে। রাসেল ভাইপার দক্ষ সাঁতারু হওয়ায় নদীর স্রোতে অ বন্যা পানিতে খুব সহজে এক এলাকা থেকে আনন এলাকাতে যেতে পারে এই জন্য আমাদের সবাইকে সাবধান থাকাটা খুব জরুরি।
কি কারনে কামড় দেয় রাসেলস ভাইপার জানালেন বিশেষঙ্গ
রাসেলস ভাইপার সাপ বাংলাদেশে চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া নামেও পরিচিত। প্রচলিত আছে এ সাপ কামড়ালে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। আসলেই কি এতটা ভয়ঙ্কর রাসেল ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপ? বাংলাদেশের প্রধান ৩ টি বিষাক্ত সাপ যেমন গোখরা, কেউটে এবং রাসেল ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া। তবে এই সাপটি নিজ থেকে তাড়া করে কিউকে দংশন ক্রে না।
মূলত অসাবধানতাবশত কেউ এই সাপের গায়ে পারা দিলে এই সাপটি ছোবল দেয়।এই সাপের বিষ শরীরে প্রবেশ করলে মূলত শরীরের রক্ত পাতলা হয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে স্বতঃস্ফূর্ত রক্তক্ষরণ হতে পারে, কিডনি বিকল হতে পারে, স্নায়ু অবশ হয়ে ফুসফুসের কার্যকারিতা হারিয়ে যেতে পারে এমনকি হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে।
লেখক এর মন্তব্য
রাসেলস ভাইপার থেকে নিজে বাচুন এবং পরিবারের সবাই কে বাচান আর আমার এই আটীকেল টি যদি আপনার ভাল লাগে তাহলে সবার সাথে শিয়ার করবেন
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url