কালিজিরা তেলের উপকারিতা ও কালিজিরা তেলের দাম
কালিজিরা তেলের উপকারিতা জানার জন্য নিশ্চয়ই অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন। কিন্তু সঠিক তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না। চিন্তার কোন কারণ নেই আজকে আমি এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। সম্পূর্ণ বিষয়গুলো ভালোভাবে বোঝার জন্য আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল।নিয়মিত কালিজিরা খেলে তা হার্ট ভালো রাখে,
শ্বাসকষ্টের সমস্যা সমাধান কর্ জয়েন্ট গুলোকে লুব্রিকেট করে। । ক্ষুদ্র এই বীজের তেল উপকারিতা অনেক। কালিজিরার পাশাপাশি এর তৈরি তেলে ও বিশেষ উপকার। আজ চলুন জেনে নেওয়া যাক কালিজিরা তেলের উপকারিতা
ভূমিকা
কালিজিরা তেলে আছে প্রচুর এন্টি- অক্সিডেন্ট। গবেষণা বলছে, রক্তচাপ ও রক্তের চর্বি নিয়ন্ত্রণে ও সহায়তা করতে পারে এই তেল।কালিজিরা তেল আয়ুর্বেদিও, ইউনান্ কবিরাজি অলোকজ চিকিৎসায় ব্যবহার হয়। কালিজিরা তেলের আরো কিছু ব্যবহার ও কার্যকারিতা কপালের 2পাশ এবং কানের পাশ
দিনে তিন- চারবার কালোজিরার তেল মালিশ করুন মাথা ব্যথা ভাল হয়ে যাবে। চুল পড়া রোধে কালোজিরার তেল ভালো ভাবে খান এতে আপনার চুল পর্যাপ্ত পুষ্টি পাবে। তাহলে চুল পড়া বন্ধ হবে আর ভালো ফল পেতে চুলের গোড়ায় এর তেল মালিশ করতে থাকুন। কালিজিরা তেলের উপকারিতার কোন শেষ নেই।কালিজিরা ১০০ গ্রাম তেলের দাম ১৯০ টাকা
কালোজিরা তেলের উপকারিতা
আয়ুর্বেদিক ও কবিরাজি চিকিৎসাতে কালিজিরার তেলের ব্যবহার অনেক। একে বলা হয়ে থাকে সর্ব রোগের মহা ঔষধ। এর পুষ্টিগুণের কথা আমরা কম বেশি সবাই জানি তবে এই পুষ্টিকর খাদ্য উপাদান থেকে উৎপাদিত তেল খোলা বাজারে নামে- বেনামে পাওয়া যায় তা না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, খোলা বাজারে পাওয়া কালিজিরার
তেল অধিক অংশেই ভেজাল। এই তেল খেলে পেটের পিরা হতে পারে বুকে জ্বালাপোড়া, গ্যাস্টিক, আলসার নানা সমস্যা হতে পারে। তবে ঠিক গুণগত মানের কালিজিরা তেলের উপকারিতা।এই কালিজিরার তেল নিয়মিত যদি খেতে পারে তবে অনেক বড় বড় রোগ হতে রক্ষা পাবে। কিন্তু পরিমাণ মতো খেতে হবে অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না
কালোজিরা তেলের ব্যবহার বিধি
কালিজিরা আয়ুর্বেদিক, ইউনান্ কবিরাজি ওলোকজ চিকিৎসার ব্যবহার হয়।মসলা হিসাবে ও ব্যাপক ব্যবহার হয়ে থাকে ।কিন্তু কালিজিরা ব্যবহারে খাবারের একটু ভিন্ন ধরনের স্বাদ নিয়ে আসে যার। এটি পাঁচফোড়ন হিসাবে ও ব্যবহার করা হয় ২০ থেকে পাওয়া তেল। কালিজিরার বীজ থেকে তেল পাওয়া যায়। যা আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী।
কালিজিরা তেলে ১০০ টি বিশেষ উপযোগী উপাদান আছে। এতে আছে প্রায় ২১ শতাংশ আমিষ, ৩৮ শতাংশ শর্করা এবং ৩৫ শতাংশ ভোজ্য তেল ও চর্বি। কালিজিরার অন্যতম উপাদানের মধ্যে আছে নাইজেলোন, থাইমোকিনোন ও স্থায়ী তেল।এক চা চামচ পুদিনার পাতার রস বা কমলার রস বা এক কাপ রং চায়ের সাথে এক চা চামচ কালিজিরার তেল মিশিয়ে
এ দিনে তিনবার করে নিয়মিত খেতে হবে তাহলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে এভাবে খেলে দুশ্চিন্তা দূর হবে। বিকাশের জন্য কাজ করে দ্বিগুণ হারে। কালোজিরা নিজেই একটি অ্যান্টিবায়োটিক বা এন্টিসিটিক। মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মরণ শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। চুল পড়ার সমস্যা অনেক বড় একটি সমস্যা।
এক্ষেত্রে কালিজিরা খেয়ে যেতে হবে, চুল পর্যাপ্ত পুষ্টি পাবে। ফলে চুল পড়া বন্ধ হবে। হঠাৎ মাথা ব্যাথা হলে ১/২চাচা মচ কালিজিরা তেল মাথায় ভাল ভাবে মালিশ করতে হবে এবং এক চা চামচ কালিজিরা তেল সমপরিমাণ মধুসহ দিনে তিনবার করে খেতে হবে। এট.২/৩ সপ্তাহ খেলে ভালো হবে। এছাড়া মাথাব্যথায় কপালের উভয় চিবুকে ও কানের চারিপাশে
প্রতিদিন৩/৪ বার কালিজিরার তেল মালিশ করলে উপকার পাওয়া যাবে। এক চা চামচ কালিজিরা তেলের সাথে সমপরিমাণ মধু বা এক কাপ লং চায়ের সাথে মিশে দৈনিক তিনবার খেতে হবে এবং রোগ সেবা সেরে না যাওয়া পর্যন্ত মাথা ও ঘাড়ে মালিশ করতে হবে। তাহলে অনেক উপকার হবে। তাহলে আমরা বুঝতে পারলাম কালিজিরা তেলের উপকারিতা।
কালোজিরা তেলের দাম২০২৪ সালে কালোজিরার তেলের বাজার নিয়ে আলোচনা করা হলে দেখা যায়, বিভিন্ন কারণের জন্য এর দাম পরিবর্তিত হতে পারে। কালোজিরা তেলের দাম নির্ভর করে উৎপাদনের স্থান, মান এবং সরবরাহের উপর ভিত্তি করে। সাধারণত ভালো মানের খাঁটি কালোজিরার তেলের দাম কিছুটা বেশি হয়।
২০২৪ সালে বাংলাদেশের বাজারে কালোজিরার তেলের দাম
স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ বর্তমানে অনেক বাংলাদেশী উদ্যোক্তারা কালোজিরার তেল নিয়ে ব্যবসা গড়ে তুলছেন।কারন মানুষ এখন বুঝতে পেরেছ কালিজিরা তেলের উপকারিতা। তবে বিশ্বব্যাপী তেলের দাম এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক পরিবর্তনগুলো কালোজিরার তেলের দামের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। বর্তমান বাজারে কালোজিরার তেলের গড় দাম প্রতি লিটার ২০০০-৩০০০ টাকার মধ্যে রয়েছে।
- ১০০ গ্রাম কালোজিরা তেল ২০০-৩০০ টাকা।
- ২৫০ গ্রাম কালোজিরা তেল ৫০০-৭০০ টাকা।
- ৫০০ গ্রাম কালোজিরা তেল ১২০০-১৬০০ টাকা।
- ১ কেজি কালোজিরা তেল ২০০০-৩০০০ টাকা।
কালোজিরার তেল বানানোর পদ্ধতি
আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব চুল পড়া বন্ধ করতে, চুলের রক্ষতা দূর করত্, চুলের অকালপক্ক দূর করত্, চুলের খুশকি দূ্র করতে, আজকে আপনাদেরকে জানাবো হাজারগুণ সমৃদ্ধ কালোজিরা তেলের উপকারিতা। কালোজিরা কে সর্ব রোগের মহা ঔষধ বলা হয়ে থাকে। এ সময়ে সবারই একটি কমন প্রবলেম হলো বেশি চুল ঝরে যাওয়।অকালে চুল পেকে যাওয়া।
আর চুল খুব বেশী রুক্ষ হয়ে যাওয। জাদু করি এই কালোজিরার তেল ব্যবহার করে মাত্র ১৫ দিনেই আপনি এই সকল সমস্যার সমাধান পেতে পারেন। কালোজিরার তেল তৈরি করার জন্য এখানে প্রায় ৫০ গ্রামের মতো কালোজিরা নিয়ছি। এই কালোজিরাই রয়েছে কেরাটি অ্যান্টি এক্সিডেন্ট আর অ্যান্টিঅ্যাক্টেরিয়াল যা আমাদের মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে।
এর ফলে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। তাছাড়া কালোজিরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন। যা আমাদের চুলের জন্য খুবই দরকারী একটি উপাদান। তারপরে নিয়েছি ২৫ গ্রামের মতো মেথি কালোজিরার ঠিক অর্ধেক পরিমাণ মেথি নিতে হবে।এই মেথিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এমনও এসিড, রিতা সি্ ম্যাঙ্গানি, ফাইবা্ প্রোটিন ও আয়রনযা চুল পড়া বন্ধ করে।
নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।আর চুলকে করে অনেক বেশি সিল্কি মসৃণ। এখন এই মেথি ও কালোজিরা কে আলাদা আলাদা ভাবে ব্লেন্ড করে নেব। চাইলে কিন্তু এই দুটো উপাদানকে সিল পাটায় মিহি করে নিতে পারি। প্রথমে আমি কালোজিরা টাকে খুব ভালো করে পাউডার করে নিয়েছি। এরপর মে্থি তাকেও পাউডার করে নিয়েছি।কালোজিরার তেল
তৈরি করার জন্য এখানে আমি নিয়েছি এক কাপের থেকে ২ টেবিল চামচ পরিমাণ কম নারিকেলের তেল। সাথে নিয়েছি 2 টেবিল চামচ পরিমাণ সরিষার তেল।সরিষার তেলটা গরম হওয়াতে তুলনামূলকভাবে মাথার ত্বককে রক্ত চলাচল করতে সহায়তা করে আর এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এর কাজ করে। এরপরে নিয়েছি কিছু কিশোর আজ বাঁধ ভেঙ্গে
গাছএর পাতা যুগ যুগ ধরে চুলের যত্নে কিশোর রাজ বা ভিঙ্গরাজ পাতা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটা আমাদের নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এবং চুল পড়া রোধ করে। অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন ক। নিয়েছি একমুট নিমপাতা নিম পাতা আমাদের মাথার ত্বকে কোন ধরনের ফুস ফুসকুড়ি থাকে বা খুশী থাকে তাহলে এগুলোকে দূর করতে সাহায্য করে।
এগুলোকে তেলের সাথে নেড়েচেড়ে মিশিয়েনিতে হবে। এরপর আগে থেকে যে কালোজিরা আর মেথির পাউডার করে রেখেছিলাম সেটাইমিশিয়ে দিতে হবে। কালোজিরা আর মেথির পাউডার টাকে দেওয়ার পরে চুলার আঁচ মিডিয়ামে করে দিয়ে অনবরত নেড়ে চেড়ে এই তেলটা তৈরি করতে হবে। না হলে কিন্তু মেথির গুঁড়ো তা তলানিতে লেগে যাবে আর
যে উপকরণগুলো ব্যবহার করা হয়েছে এর গুনাগুন টা ঠিকঠাক ছেলের সাথে সেট হবে না। গুনাগুনটা ঠিকভাবে তেলের সাথে সেট হবে না। খুব দ্রুত পুড়ে যাবে। দুই এক মিনিট জ্বাল করার পর দেখা যাবে তেলের কালার টা চেঞ্জ হতে শুরু করেছে। কিছুক্ষণের মধ্যে দেখা যাবে পাতাটাতে কাঁচা কাঁচা ভাব নেই আগের থেকে মুচমুচে হয়ে গিয়েছে।
তখন এগুলোকে ছেঁকে উঠিয়ে নিতে হবে। পাতাগুলো উঠে নেওয়ার পরে এই সময় এই তেলের সাথে দিয়ে দিব এক টুকরা দারুচিনি। দারুচিনি কিন্তু আমাদের মাথার ত্বকে অ্যান্টিফাঙ্গালের কাজ করে থাকে তাছাড়া তেলের বাজে গন্ধটা দূর করে।তেলটাতে খুব সুন্দর একটা ঘ্রাণ আনবে দারুচিনির টুকরা টা
দেওয়ার পরে আরও ৩০ থেকে ৪০ সেকেন্ড জাল করতে হবে এরই মধ্যে কিন্তু তেলটা পুরোপুরি কালো হয়ে গেছে এই সময় তেলটাকে চুলা থেকে নামিয়ে অনবরত নেড়েচেড়ে এটাকে ঠান্ডা করে নেব তেলটা পুরোপুরি ঠান্ডা হয়ে গেলে ছাকনি দিয়ে ছেঁকে নেব।তাহলে তেলটা তৈরি হয়ে যাবে তাহলে তোমরা বুঝতে পারলা কালিজিরা তেলের উপকারিতা
চুলে কালোজিরা তেলের উপকারি
চুলের যত্নে কালিজিরা তেলের উপকারিতা। চুলে শুধু নারিকেল তেলি লাগাতে হবে এমন কোন কথা নেই নানা রকম তেলের মিশ্রণে পাওয়া যায় আরো কালোজিরার তেল যা আমাদের চুলের জন্য অনেক উপকারী একটি তেল আমাদের মাথার চুলকে সতেজ এবং সুস্থ রাখে সপ্তাহে এক বা দুই দিন
কালেজিরার তেল বিধি ব্অযভারের বিনুযায়ী লাগানো যেতে পারে।শুষ্ক চুলের জন্য ডিমের সাদা অংশের সাথে কালোজিরা তেল মিশিয়ে লাগালে চুলের শুষ্কতা কমে আসে। নিয়ম করে সপ্তাহে দুইবার এই তেল দিয়ে চুল যত্ন করলে চুল সুন্দর হবে। নতুন চুল গজানোর জন্য দুই বার কালিজিরার তেল
মিশিয়ে চুলে গোড়ায় গোড়ায় মেসেজ করে লাগেনি। এরপর একটি নরম তোয়ালে কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে এবং পানি নিঙ দিয়ে পুরো চুল মুড়িয়ে মাথায় লাগিয়ে রাখুন ৪০ থেকে ১ ঘন্টা সময়ের জন… নিয়ম করে সপ্তাহে দুইবার এভাবে চুলের যত নিলে নতুন চুল গজাবে।
লেখক এর মন্তব্য
কালিজিরার তেল ছেলে-মেয়ে উভয়ই ব্যবহার করা যায়।কিন্তু চুল মেয়েদের সুন্দর্য তাই সবাই চুলের যত্ন করব।আর আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। এবং অন্যদের পড়ার সুযোগ করে দিবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url