এক মাসেই 15 কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট

আপনি কি মোটা হয়ে যাচ্ছেন ওজন কমাতে পারছেন না ওজন নিয়ে চিন্তিত। আর কোন চিন্তা নেই। আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি। ওজন কমানোর সমাধ।  বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকরী ও জনপ্রিয় এক ডায়েটের নাম কিটোজেনিক।এই ডায়েটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো তিনি কখনো দুর্বল বোধ করবেন না।আপনি যদি ফিট থাকতে চান অবশ্যই আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল।  সম্প্রতিক সময়ে বিশেষ জাগিয়েছেন এই কিটো ডায়েটটি।বিশেষ করে ফেসবুক, ইউটিউ, ইনস্টাগ্রা, তথা অনলাইন জগতে মানুষের।কিটোজেনিক ডায়েট ফলো করেওজন কমিয়েছে অনেকেই।কারণ এই ডায়েটের একটি বিশেষত্ব গুণ হলো। এই ডায়েট করলে দুর্বলতা বোধ করবেন না।



তাই অনেকেই  কিটোজেনিক ডায়েট ফলো করে। কিটোজেনিক ডায়েট অনুযায়ী চার্ট আপনাদেরকে জানানো হলো।কিটো সম্পর্কে এক কথায় বলতে গেলে এই ডায়েট চলাকালীন সময় শর্করা জাতীয় খাবার  কম খেতে হবে বরং চর্বি জাতীয় খাবার কে প্রাধান্য দেওয়া হয়

ভূমিকা
এই ডায়েট চার্ট অনুসরণ করলে এক মাসে অন্তত ১৫ থেকে ১৭ কেজি ওজন কমবে। জেনে নিন সারাদিনের ডায়েট চাট।বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকারী ও জনপ্রিয় এক ড ডায়েটের নাম কিটোজেনিক।এই ডায়েট অনুসরণ করেন হলিউড কিংবা বলিউডের তারকারাও। খুব অল্প সময়ে ওজন কমাতে এই ডায়েটের বিকল্প নেই।

এই ডায়েটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো আপনি কখনো দুর্বলতা বোধ করবেন না। কিটো ডায়েট চলাকালীন সময় অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবারগুলো খাওয়া হয়ে থাকে। সম্পত্তির সময় বেশ সারা জাগিয়েছেন এইকিটো ডায়েট।২৫ শতাংশ প্রোটিন, ৫ শতাংশ  কাব ৭০% ফ্যাট হল কিটো ডায়েটের সঠিক অনুপাত।

সকালের নাস্তা

অবশ্যই  দেরি করে খাওয়া উচিত অর্থাৎ যতক্ষণ না খেয়ে থাকা যায়। সেই সঙ্গে সোয়াবিন বা সরিষার তেল বদলে অলিভ অয়েল অথবা কোকোনাট অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এর সঙ্গে মাখানো ব্যবহার করতে পারে। সকালের নাস্তাসকালে ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করে আধা ঘন্টা হাটবেন কিংবা  ওয়ার্ক আউট করবেন।এক ঘন্টা ব্যায়াম করতে পারলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

কিন্তু সময় না পেলে অন্তত আধা ঘণ্টা ব্যায়াম করুন। তার পরে ঠিক সকাল ৮ টার সময় এক মগ বুলেট কফি পান করুন ।বুলেট কফি না হলেও অন্তত এক কাপ ব্ল্যাক কফি পান করুন।বুলেট কফি যেভাবে তৈরি করবেন।

  • উপকরণ ঃ এক চামচ কফি পাউডার, ১ চামচ এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েল ও এক চামচ মাখন।
  •  প্রণালী ঃ প্রথমে মগে এক চামচ কফি পাউডার নিন। এবার সামান্য পানি নিয়ে ভালো করে মিশ্রণটি তৈরি

করুন। অতঃপর সামান্য উপর থেকে মগে পানি ঢালুন। এরপর কোকোনাট অয়েল ও মাখন মিশিয়ে নিন।  এরপর পান করুন। সকাল ১১ টার সময় মাখন দিয়ে দুটি ডিম পোজ করে নিন। সঙ্গে এক মুঠো বাদাম ওই মাখনের সামান্য পিক সল্ট দিয়ে ভেজে নিন। এটাই সকালের নাস্তা। এর বিকল্প হিসেবে ডিমের সঙ্গে টমেটো পেঁয়াজ কলি গাজর মিশিয়ে অমলেট বানাতে পারেন।


 দুপুরের খাবার


  •  ১  দুপুরের খাবারের পূর্বে ২টার দিকে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার পান করুন। এজন্য হালকা গরম পানিতে এক টেবিল চামচ  অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করুন।
  •  ২  এর ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরেই করুন লাঞ্চ। এজন্য শাক বা সবজি পেঁয়াজ মরিচ এমনকি মসলা দিয়ে ভেজে নিতে পারে।সঙ্গে যে কোন মাছ ও থাকতে পারে। তবে অবশ্যই  রান্নায় এক্সট্রা ভার্জিন  অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে হবে। 
  • ৩  কিটোজেনিক ডায়েটে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে।এজন্য অবশ্যই প্রতিবার পানি পান করার সময় সামান্য হিমালয়া পিঙ্ক সল্ট ব্যবহার করতে হবে। দিনে অন্তত ৪ থেকে ৫ লিটার পানি পান করতে হবে

বিকালের নাস্তা

বিকাল ৫টার সময় এক বার্টির সালাত খান। সঙ্গে এক কাপ গ্রান টি খেতে ভুলবেন না যেন। একমুঠো বাদামও খেতে পারেন। এছাড়া আর খুব বেশি কিছু খাওয়া যাবেনা। 

 রাতের খাবার

  • ১ রাত ৮ টার মধ্যেই ডিনার সম্পূর্ণ করতে হবে।এজন্য দুই পিস মুরগির মাংস ভেজে নিতে পারেন।আবার মাছও খেতে পারেন।সঙ্গে নিন একটি শসা ও গাজরের সালাত।অবশ্যই খাবারগুলো অদল বদল করে খেতে পারেন।এতে একঘেয়েমি আসবেন।
  • ২  রাতের খাবারের সবজি খেতে পারেন।পার্টি সবজির সঙ্গে এক পিস মাংস খাওয়া যেতে পারে।তবে ভুলেও এই ডায়েট চলাকালীন সময় ভাত খাবেন না। কারণ কিটো ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ ও অনেক কম থাকে।আর তাই দ্রুত ওজন বশে আনা সম্ভব হয়।

 সতর্কতা


  • ১  অবশ্যই কিটো ডায়েট তিন মাসের বেশি করা যাবে না। তিন মাস টাইটের পর সাধারণভাবে অল্প খেয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।কিছুদিন পর আবারো এই ডায়েটের চাট মেনে চলুন।

  • ২  কিটো ডায়েট এক সপ্তাহের জন্য করা যেতে পারে। জন্য একইভাবে সাত দিন ডায়েট করুন। অতঃপর দুই দিনের জন্য বিরতি ন… এই দুইদিন মাত্র চার ঘন্টা খাওয়ার সুযোগ পাবেন।থাকি বিষ ঘন্টা উপস্থা থাকতে হবে। এ সময় শুধু পানি পান করা যা… এছাড়াও গ্রিন টি ও ব্লাক কফি ও পান করতে পারে। এছাড়াও ডাবের পানি ভেনাগার মিশ্রিত পানি মাছ ডিম বাদাম কিংবা সবজি  এসব খাবার গুলো রাখতে পারেন।তোবে আরও এই ডায়েট এক সপ্তাহের জন্য মেনে চলুন।পারলে এই দুই দিন রোজা রাখতে পারে তাতে কোন সমস্যা হবে না।

 লেখক এর মন্তব্য

যারা ওজন কমাতে চান বা ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তারা এই ডায়েট টি ফলো করতে পারে। এই ডায়েট ফলো করে ওজন ১৫ থেকে ১৭ দিনে অনেক কের কমে গেছে আর তাই আপনিও ফলো করতে পারেন।আর আর্টিকেলটি পড়ে আপনার যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই সবার সাথে শেয়ার করবেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url