ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা

 একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করবে। তাই আজকে আমরা একজন ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা কেমন হওয়া উচিৎ তা নিয়ে আলোচনা করব। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১০% মানুষ ডায়াবেটিস আক্রান্ত, এর মতে বাংলাদেশে ডায়াবেটিস প্রতি বছর মারা যায় ৬০৬০ পুরুষ এবং ৪৭৬০ মহিলা যাদের বয়স ৩০-৬৯ বছরের মধ্যে। ৭০ বা তার ওপরের বয়সে মারা যায় ৮২২০ পুরুষ এবং ৭৩৯০ মহিলা।


 ডায়াবেটিস সহ অন্যান্য জটিলতায় পুরুষ ৪.৬% এবং মহিলা ৭.৪% ভোগে। বতমান বিশ্বে চিকিৎসা বিঙ্গানের উন্নতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটায় এরক্ম প্রধান পাঁচটি কারণের মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। তবে সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মানুবতী জীবন এবং ওষুধের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনেরাখা যায়। 

ভূমিকা

  ডায়াবেটিস হলেই যে আপনাকে নিদিষ্ট কিছু খাবার একেবারে ছেড়ে দিতে হবে তা নয়। আপনি বিভিন্ন রকমের খাবার খেতে পারবেন, যেমনঃ লাল চালের ভাত লাল আটার রুটি আলু এই গুলো খেতে পারবেন। কিন্তু আবার ডায়াবেটিস রোগীর কিছু খাবারের নিষিদ্ধ খাবার আছে যেমন সাদা চালের ভাত

টমেটো স্‌স, মিল্ক কেক, আবার ডায়াবেটিস রোগীর কিছু কিছু ফল খাওয়া নিষিদ্ধ রয়েছে যেমন আঙ্গুর, আম, পেঁপে, কলা, তরমুজ, আনারস, এই সব ফল ডায়াবেটিস রোগীর কম খাওয়া ভালো। 

ডায়াবেটিস কি এই সম্পকে জেনেনি 

 আমাদের জানা উচিত ডায়াবেটিস কি বা কাকে বলে। ডায়াবেটিস একটি বিপাকীয় ব্যাধি যা বহুবিধ কারণে সৃষ্ট হয়। বিশেষ করে দীঘস্থায়ী হাইপারগ্লাইসেমিয় দ্বারা এর উৎপত্তি হতে পারে বলে ধারণা করা হয়। এই অবস্থা তখন ঘটে যখন অগ্ন্যাশয় কোনো ইনসুলিন সঠিকভাবে কাজ করে না। ইনসুলিন একটি হরমোন যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে শরীরের কোষে শক্তি হিসেবে ব্যবহার করার জন্য রক্তে শর্করাকে প্রবেশ করতে দেয়। সহজ কথায় রক্তে খুব বেশি চিনি সঞ্চালন করলে ডায়াবেটিস হয়। 

 ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্যাভ্যাস কেমন হওয়া উচিত? 

 ডায়াবেটিস হলেই যে আপনাকে নিদিষ্ট কিছু খাবার খাওয়া একেবারে ছেড়ে দিতে হবে তা নয়। আপনি বিভিন্ন রকমের খাবার খেতে পারেন, তবে কিছু খাবার অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে।

  •  বৈচিত্রময় খাবার খাওয়াঃ প্রতিদিন একই ধরনের খাবার না খেয়ে, নানান রকমের ফলমূল, শাকসবজি ও কিছু শ্বেতসার -জাতীয় খাবাএ খাওয়ার চেষ্টা করুন। যেমন লাল চালের ভাত, লাল আটার রুটি ও আলু। 
  • যেসব খাবার কমিয়ে দিবেনঃ চিনি, লবণ ও চর্বি জাতীয় খাবারের পরিমাণ একেবারেই কমিয়ে দেওয়া, যতটুকু না খেলেই না ঠিক ততটুকুই খাওয়া।
  •  সময়মত খাবার খান ঃ প্রতিদিন সকালের নাশতা, দুপুরের ও রাতের খাবার সময়মত খেতে হবেকোনো বেলার খাবার যেন বাদ না পড়ে। 
  • আপনার যদি খাদ্যভ্যাস পরাবর্তনের প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে একটু করে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন। এভাবে পরিবর্তন আনা আপনার জন্য সহজ হবে। একেবারে খাদ্যাভ্যাস বদলে ফেলার চেষ্টা না করাই ভালো।

  ডায়াবেটিস রোগীরদ্ধ খাবার তালিকা নিষিদ্ধ  

 আমাদের ঘরে কিংবা আশেপাশে অনেক ডায়াবেটিস রোগী রয়েছেন। কিন্তু অঙ্গতার কারনে আমরা অনেকেই জানি না ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকায় কী কী রয়েছে। তাই আমাদের এই সম্পকে বিস্তারিত ঙ্গান রাখার দরকার আছে। তাহলে চলুন জেনে নিই ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকায় কী কী থাকছে। আমরা মাছে ভাতে বাঙ্গালি। তাই ভাত ছাড়া আমাদের চলে না কিন্তু ডায়াবেটিস জন্য সবচেয়ে বিপদজনক খাবার হল সাদা ভাত।


 ডায়াবেটিস সংক্রান্ত গবেষণা অনুসারে, ডায়াবেটিস রোগীর সাদা ভাত খাওয়া উচিত নয়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আরেকটি বিপদজনক খাবার হল টমেটো সস। কফি অনেকের জন্য ভাল হলেও, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কফির ব্যবহার তাদের শরীরে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই কফির মিশ্রণ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভাল নয়।

ডায়াবেটিস রোগীর ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়ার উপকারিতা 

 ডায়াবেটিস থাকলে যে আপনি ফলমূল খেতে পারবেন না এমন কোন কথা নেই। ফলমূল ও শাকসবজিতে সাধারণত ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে; এগুলো প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ ও আঁশ তথা ফাইনার পরিপূর্ণ। তাছাড়া এগুলো প্রত্যেক বেলা খাবারের নতুন ও বৈচিত্র্য যোগ করে। টাটকা, ফ্রোজেন,শুকানো কিংবা ক্যান ও টিনের বোতলে প্রক্রিয়াজাত যেকোনো ধরনের ফলই খাওয়া খাওয়া যায়।

 শরীরে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ পদাথের চাহিদা পুরন করার জন্য যত প্রকারের রং-বেররেং ফল খাবেন, ততই ভালো।তবে ফলের জুস না খাওয়া ভালো, কারণ এতে আঁশের পরিমাণ খুব কম থাকে। ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়ার উপকারিতা ভালো করে জানা যাক যেমন 

  • আপনার পরিপাকতন্ত্রকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
  • আপনার শরীরকে হাটের বিভিন্ন সমস্যা স্ট্রোক ও কয়েক ধরনের ক্যান্সার থেকে সুরক্ষিত রাখে।     

 ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির 

যারা শরীরের মেদ ও চর্বি কমিয়ে অতিরিক্ত ওজন কমাতে চাচ্ছেন তাদের ডায়েটিং ব্যায়ামসহ নানা প্রচেষ্টার অন্ত নেই।কিন্তু সফলতা হার খুবই কম।এর সমাধানে  বর্তমান সময়েএকটি  ডায়েটিং পদ্ধতি বেশ  জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।ডক্টর জাহাঙ্গীর কবির এর ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা কিটো ডায়েট মূলত সফলতার হার থেকেই এই জনপ্রিয়তা অর্জিত হয়েছে। কিটোজেনিক ডায়েটসুপার হল সুপার লো- কার্ব ডায়েট।
 এই ডায়েটে কার্ব এক্সট্রিম লেভেলে কম থাকবে আর ফ্যাট অনেক হাই থাকবে আর প্রোটিন মিড লেভেলে থাকবে। আমাদের নরমাল ডায়েটে ৫০% কার্বোহাইডেট থাকে ২০% প্রোটিন আর ৩০% ফ্যাট থাকে। টিপিক্যাল কিটোজেনিক ডায়েটে টোটাল ক্যালোরিক নিডের  ৫%, প্রোটিন ২৫% আর ফ্যাট থাকে ৭০%।
মানে আপনি সারা দিন যতটা খাবার খাবেন তার মধ্যে খাবারের পার্সেন্টেজ এমন হবে।এইজন্য আপনাকে জানতে হবে কোন কোন খাবারে কি পরিমাণ কাব, প্রোটিন, ফ্যাট ইত্যাদি থাকে। 

 আপাতত মোটেও খাওয়া যাবে নাঃ

 পরিপূর্ণ। তাছাড়া এগুলো প্রত্যেক বেলা খাবারের নতুন ও বৈচিত্র্য যোগ করে। টাটকা, ফ্রোজেন,শুকানো কিংবা ক্যান ও টিনের বোতলে প্রক্রিয়াজাত যেকোনো ধরনের ফলই খাওয়া খাওয়া যায়। শরীরে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ পদাথের চাহিদা পুরন করার জন্য যত প্রকারের রং-বেররেং ফল খাবেন, ততই ভালো।
তবে ফলের জুস না খাওয়া ভালো, কারণ এতে আঁশের পরিমাণ খুব কম থাকে। ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়ার উপকারিতা ভালো করে জানা যাক যেমন 
  • আপনার পরিপাকতন্ত্রকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
  • আপনার শরীরকে হাটের বিভিন্ন সমস্যা স্ট্রোক ও কয়েক ধরনের ক্যান্সার থেকে সুরক্ষিত রাখে।     
  • কোন প্রকার ডাল খাওয়া যাবে না। 
  • আলু, মিষ্টি আলু ,গাছ আলু বা  আলু সাদৃশ্য অন্যান্য আলু ,যা শর্করা জাতীয় সবজি যেমনঃ মূলা।
  • এছাড়া চিনি এবং চিনি দিয়ে বানানো দ্রব্যাদি পৃথিবীতে যা কিছু আছে তা খাওয়া যাবে না।
  • দই, টক দই, দুধ এবং সরাসরি দুধ দিয়ে বানানো দ্রব্যাদি।
  • মধু এবং মিষ্টি ফলমূল খাওয়া যাবে না। কেন খাওয়া যাবেনা সেটা পরে ব্যাখ্যা করছি।
  • সয়াবিন তৈল, সূর্য মুখী তেল, রাইস ব্যান ওয়েল, ক্যানোলা অয়েল, এবং সাধারন কোন তেলে রান্না করা কিছু খাওয়া যাবে না।   
  • ফার্মের মুরগি, যে মুরগিগুলো টেনারির বর্জ্য থেকে উৎপাদিত খাদ্য খাওয়ানো হয়, সয়া খাওয়ানো হয়।
  • গরুর মাংস, যে গরু বা ষাঁড় গুলো  ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে মোটা তাজা করা হয়। খাসির ব্যাপারেও একই কথা।

যা খেতে বাঁধা নেইঃ

  • সবুজ শাক, সবজি। ( গাজর, কচি সবুজ মিষ্টি কুমড়া খেলে অল্প পরিমাণে ) 
  • টক জাতীয় ফল। যেমন, জলপাই, আমলকী, একটি কচি ডাবের পানি। 
  • মাছ, যে কোন প্রকার খেতে পারবেন। তবে তৈলাক্ত দেশিয় মাছের ভেতর পাঙ্গাস, বোয়াল, ইলিশ,সরপুঁটি, ব্রিগেড, গ্রাসকার্প,বাইম  মাছ উত্তম। তৈলাক্ত বা সাগরের মাছ হলে আরো ভালো।  
  • গরু এবং খাসির মাংস খাওয়া যাবে তবে তা হতে হবে ইনজেকশান মুক্ত এবং ঘাস, লতা পাতা বা খড় কুটো খেয়ে লালিত পালিত। তবে বেশি পরিমাণ খাওয়া যাবে না। 
  • গরু, বা খাসির পায়া খাওয়া যাবে।সেটা খাওয়া এই সময়ে খুবই উপকারী। এটাও অল্প পরিমাণে খেতে হবে। 
  • মুরগির ডিম খেতে পারবেন। ফার্ম হলে সমস্যা নেই, তবে ওমেগা থ্রি বা দেশি মুরগি বা হাস হলে বেশি ভালো।
  • মাছের ডিম ও খেতে চেষ্টা করবেন যথা সম্ভব। 
  • যেকোনো প্রকার বাদাম। চিনা বাদাম, কাজুবা্দাম, পেস্তা বাদাম, অন্যান্য বাদাম যা আছে। চাইলে বাদাম ব্লেন্ড করে সাথে নারিকেল তেল মিশিয়ে বানাতে পারেন পিনাট বাদাম। যেটা খেতে তুলনাহীন। তবে খাবেন অল্প পরিমাণে।
  • রং চা বা কফি খেতে পারবেন দুধ চিনি ছাড়া। গ্রিন টি সাথে লেবু,। আদা, সামান্য লবণ মিশাতে পারবেন। কফির সাথে, এমসিটি অয়েল, মাখন বা ঘি, এবং অর্গানিক কোকোনাট অয়েল মিশিয়ে বাটার কফি বানিয়ে খেতে পারেন। এতে ভালো কাজ হবে।  

ডায়াবেটিস রোগীর সকালের খাবার 

  • যাদের সকালে খাওয়ার অভ্যাস তারা আটটা বা সাড়ে আটটার দিকে দুধ চিনি ছাড়া এক কাপ চা খেতে পারবেন। চায়ের মধ্যে যা দেবেন, আদা, লেবু, সামান্য লবণ।
  • অ্যাপেল সিডার ভিনেগার বা কোকোনাট ভিনেগার খেতে পারবেন কুসুম গরম পানির সাথে।
  • এবং কুসুম গরম পানির সাথে লেবু চিপে খেতে পারেন।সকাল আট টায় নাস্তা খেলে দেড়টার ভেতরে দুপুরের খাবার খেতে হবে। এছাড়া যাদের দেরিতে নাস্তা খাওয়ার অভ্যাস তারা এগারোটার দিকে উপরোক্ত পদ্ধতিতে নাস্তা করবেন এবং দুপুরের খাবার আড়াইটা তিনটায় খাবেন।

 ডায়াবেটিস রোগীর দুপুরের খাবার

  • দুপুরের খাবারের আগে অবশ্যই অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এক চামচ এক গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে খাবেন। এতে আপনার গ্যাসের সমস্যা হবে না এবং চর্বি কাটতে সাহায্য করবে।
  • দুপুরের খাবারের ম্যানুতে শাক, সবজি, মাছ, অথবা, মাংস, ঘি এ ভাজা ডিম ঘি এ ভাজা বাদাম সাথে বাটার রাখতে পারেন এবং অবশ্যই টমেটো গাজর শসা বা শসার সালাদ রাখবে।
  • শাক,সবজি অবশ্যই এক্সট্রা ভার্জিন অয়েল দিয়ে রান্না করবেন।মাছ ভাজলে ( ডপী ফ্রাই থেকে বিরত থাকবেন এতে খাদ্যগু্ন নষ্ট হয় ) বা রান্না করলে ভার্জিন অয়েল দিয়েই রান্না করবেন।সবজি যতটুকু সম্ভব কম সিদ্ধ করবেন। যেন সবজির গুণগত মান ঠিক থাকে।
  • ডিম কুসুম সহ ঘি বা মাখন দিয়ে ভেজে খাবেন। এক দিনে সর্বোচ্চ ৬ টা ডিম কুসুম সহ খেতে পারবেন কোন সমস্যা নেই।কারণ ডিম প্রোটিন এবং ভালো ফ্যাটের উৎস তবে একবার ফ্যাট এ্যাডাপটেশন হয়ে গেলে চাইলেও এত খেতে পারবেন না।
  • দেশি মুরগি খেতে পারেন, এক দুই টুকরো অথবা উল্লেখিত গরুর মাংস। মাছ খেলে মাংস খাবেন না। মাংস খেলে মাছ খাবেন। তবে প্রবাসে অবস্থানকারিগণ ফার্মের মুরগি এক টুকরো খেতে পারেন। কারণ সেখানে ফার্মের মুরগিকে আদর্শ খাবার খাওয়ানো হয় ( যদিও মুরগি ব্যায়াম করে না সেটা দেশি মুরগি করে )।
  • দুম্বা, উট, ভেড়ার, মাংস খেলে এক টুকরোর বেশি নয়।

 ডায়াবেটিস রোগীর বিকেলের নাস্তা 

 বিকেলে ক্ষুধা লাগলে উপরের উল্লেখিত চা, কফি এবং বাদাম খাবেন যে কোন প্রকার মাখন বা ঘি দিয়ে ভেজে খাবেন।

ডায়াবেটিস রোগীর রাতের খাবার

  • রাতের খাবারের পূর্ব ভিনিগার মিশ্রিত এক গ্লাস পানি খেয়ে নেবেন।
  • রাতের খাবার দুপুরের অনুরূপ খাবেন। আইটেম দুই একটা কম বেশি হোক কোন সমস্যা নেই।
  • রাত আটটার আগেই সমস্ত খাবার শেষ করুন। এরপর আর পানি ছাড়া কিছুই খাবেন না।

 যেই বিষয়গুলো মানতে হবে

  • রাত দশটা বা সর্বোচ্চ ১১ টার ভিতরে আপনাকে ঘুমিয়ে যেতে হবে। কারণ রাত দশটা থেকে দুইটার ভেতর আমাদের শরীরে হরমোন নিঃসরণ হয়। এবং এই গ্রোথ হরমোনগুলো ফ্যাট বার্নিং এর প্রচুর সহায়তা করে। আপনি যদি এই প্রাকৃতিক বিষয়টি অগ্রাহ্য করেন তবে আপনার ডায়েট অসম্পূর্ণ থেকে যাবে এবং ভাল ফল পেতে ব্যর্থ হবেন।
  • খুব ভরে ঘুম থেকে উঠবেন। নামাজ পড়ে হাঁটতে বের হবেন। খালি পেটে হাটা ফ্যাট বার্ণিং এর জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। হাঁটার গতি নির্ভর করবে আপনার বয়স অনুসারে। বয়স যদি চল্লিশের উর্ধ্বে হয় স্বাভাবিক গতিতে হাঁটুন.৪০/৬০ মিনিট। বয়স যদি চল্লিশের এর নিচে হয় তবে জগিং করুন নয়তো জোরে জোরে হাটুন। ৪০/৬০মিনিট। তবে খেয়াল রাখবেন হাঁটতে হাঁটতে যেন হাপিয়ে না যান বা শ্বাস কষ্ট না হয়। যতটুকু হাঁটুন বা ব্যায়াম করুন শরীরের সাথে মানিয়ে ক্রুন।
  •  দ্রুত মেদ ভুরি কমানোর জন্য ইয়োগা করতে পারেন। ইয়োগা করার পদ্ধতি ইউটিউব এ দেখে নিন।
  • উপরে লিখিত পদ্ধতিত সাত থেকে আট দিন নিয়ম মেনে চলুন। এই সময়টায় আপনার শরীর ফ্যাট বার্নিং বা চর্বি গলাতে সাহায্য করবে। এটা হচ্ছে আপনার ডায়েটিং এর প্রথম ধাপ।
  •  এবার দ্বিতীয় ধাপে শুরু করুন রোজা রেখে। সেহরিতে শুধু পানি খেয়ে রোজা রাখা আরম্ভ করুন। স্বাভাবিক রোজার মতো দিনে পানি এবং সমস্ত কিছু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  •  ইফতার করবেন বাদাম, মাখন এবং শসা দিয়ে। সাথে অন্যান্য সালাদ কিংবা টক ফল রাখতে
  • ভিনেগার মিশ্রিত পানি খেয়ে রাতের খাবার উপরে উল্লিখিত অনুরূপ খাবেন এবং অবশ্যই আটটার আগে সমস্ত খাবার শেষ করুন। বেশি ভালো ফল পেতে ইফতারের এক ঘন্টার ভেতর খাবার শেষ করুন এরপর পানি খেতে থাকুন।
  •  রোজা রাখার শুরু করলে বসা থেকে দাঁড়াতে মাথা সামান্য ঘুরতে পারে। সেক্ষেত্রে সামান্য লবন মিশ্রিত পানি খাবেন প্রতিদিন। এছাড়া ডাবের পানি খেতে পারেন। প্রতিদিন একটি কচি ডাব খাওয়া খুব জরুরী।
  • একটানা যতগুলো রোজা করতে পারবেন আপনি তত দ্রুত ফল পেতে থাকবেন। তবে সাতদিন পর দুইদিন রোজা বিরতি দিবেন।ঐ দুইদিনও দুইবেলা খাবেন চার ঘন্টা ব্যবধানে। খাদ্য মেনু আগেরগুলোই। বাকী সময় ওয়াটার ফাস্টিং করবেন। অর্থাৎ ভিনেগার, লেবু, গ্রিন টি, লবন মিশ্রিত পানি এগুলো খাবেন।
  •  যদি এক টানা রোজা রাখতে না পারেন তবে সপ্তাহে অন্তত দুইটা করে রোজা রাখুন। আর যাদের পুরো দিনে রোজা রাখতে সমস্যা আছে তারা উপরের ম্যানুগুলো অনুসরণ করে খাদ্যবিরতির সময়টা দীর্ঘ করবেন। অর্থাৎ আংশিক ফাস্টিং করে যাবেন। দুই বেলা খাবেন চার ঘন্টা ব্যবধানে। খাদ্য মেনু আগের গুলোই। বাকি বিশ ঘন্টা ওয়াটার ফাস্টিং করবেন। অর্থাৎ ভিনেগার, লেবু, গ্রিন টি, লবণ মিশ্রিত পানি এগুলো খাবেন। সে সাথে নিয়মিত হাঁটুন এবং ব্যায়াম করুন।আশা করা যায় দেড় দুই মাসের ভেতরে আপনি আপনার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে গেছেন ।

লেখকের মন্তব্য

আপনার যদি ডায়াবেটিস হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি এই ডায়াবেটিস চাঁটটি ভাল করে পরবেন অবশ্যই উপকার হবে। এবং আপনার যদি পড়তে ভালো লাগে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং পরিবার আত্মীয়-স্বজনের সবার সাথে শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url