শীতে হাত-পায়ের ও ত্বক কোমল রাখবেন কিভাবে
আসছে শীত। শুষ্ক বৈরী আবহাওয়া প্রাকৃতিক মতো প্রভাব পড়বে শরীর এবং মনেও। মনকে ভালো রাখতে হলে শরীরকেও ভালো রাখতে হবে। শীত মৌসুমে আমরা মুখের যত্ন নিলেও হাত ও পায়ের যত্ন তেমন নেই না। কিন্তু এ সময় বাতাসে জলীয় বাষ্প কম থাকার কারণে ত্বক হয়ে ওঠে শুষ্ক খসখসে, ও প্রাণহীন। ত্বকের কোমলতা ধরে রাখতে হলে এই সময় চাই সঠিক যত্ন।ভাবনা নেই, উপায় বাতলে দিয়েছেন হারমনি স্পার স্বত্বাধিকারী রাহিমা সুলতানা রীতা।
হাতের ও পায়ের আঙ্গুল,গোড়ালির ত্বক শুষ্কতার কারণে খসখসে হয়ে ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর তাই অবহেলা না করে নিয়মিত হাত পায়ের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয়। ভুলে গেলে চলবে না যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অতিরঞ্জিত কোনো বিষয় না। বরং এটি জীবন যাপনের সঙ্গে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
ভূমিকা
অনেকেই আছেন হাত পায়ের যত্ন নিয়ে পরিচ্ছন্ন থাকতে চায়। কিন্তু জানেন না ঠিক কিভাবে যত্ন নিতে হবে। তাদের জন্য রইল হাত পায়ের যত্ন নেবার বিশেষ উপায়।শীতে রোজ গোসল করতে হবে। গোসলের জন্য কুসুম গরম পানিতে কয়েক ফোঁটাএসেনশিয়াল অয়েল বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিলে শরীর শুষ্ক হবে না এবং কোমল থাকবে।
শরীর কোমল রাখতে আধা কাপ টক দই, এক টেবিল চামচ তিলের তেল এবং এক টেবিল চামচ চিনি খুব ভালোভাবে মিশিয়ে হাতে ও পায়ে আলতো ভাবে ঘষে, ঘষে স্ক্রাব করতে হবে পাঁচ থেকে ১০ মিনিট। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললেই হবে।
বছরে অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে শীতে ত্বকের পরিবর্তন হয় বেশি। হাতের ত্বক পাতলা হওয়ায় একটু অযত্নে ত্বক ফাটা, কুঁচকে যাওয়া বা বিবর্ণ হওয়ার ঘটনা ঘটতে থাকে।
শীতে হাতের যত্ন
বছরে অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে শীতে ত্বকের পরিবর্তন হয় বেশি। হাতের ত্বক পাতলা হওয়ায় একটু অযত্নেই ত্বক ফাটা, কুচকে যাওয়া বা বিবর্ণ হওয়ার ঘটনা ঘটতে থাকে। এছাড়া শীতে হাতের গঠন সুন্দর রাখতে কিছু ঘরোয়া ব্যায়াম করা প্রয়োজন।এ বিষয়ের ওপর বিশেষ পরামর্শ দিলেন হার্বস আয়ুর্বেদিক স্কিন কেয়ার ক্লিনিকের আয়ুর্বেদিক রূপবিশেষজ্ঞ আফরিন মৌসুমী। সপ্তাহে দুইবার মরা চামড়া দূর করতে গোসলের আগে দুই ধরনের স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন।
- স্ক্রাব তৈরি
তিন টেবিল চামচ চালের গুড়া, ২ চামচ গ্লিসারি, ডিমের কুসুম দুইটি দিয়ে তৈরি করা স্ক্রাব একদিন ও পরের দিন অর্ধেক কাপ চিনি ও সমপরিমাণ কফি, দুই চা চামচ লেবুর খোসার গুড়্ টেক্সটা ভার্জিন বা নারিকেল তেল দিয়ে তৈরি স্ক্রাবটি অন্যদিন ব্যবহার করতে পারেন। হাতের কালচে রং দূর করতে সপ্তাহে একদিন এই প্যাক ব্যবহার করুন।
- প্যাক
অর্ধেক কাপ মোটরের ডাল বা মসুরের ডালের বেসন ২ চা চামচ,২ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার, একটি ডিমের সাদা অংশ। বাহু ও আঙ্গুলের গঠন সুন্দর রাখতে একটি দড়ি উঁচু কিছুতে বেঁধে নিন।দড়িটি হাত দিয়ে একবার উপরে টানুন ও একবার নিচে নামান। এটি বাহুর জন্য ভালো ব্যায়াম।হাতের আঙ্গুল সুন্দর রাখতে নরম বল হাতে নিয়ে একবার চিপে ধরবেন ও ছেড়ে দেবেন।
এই ব্যায়াম নিয়মিত করলে আঙ্গুল যেকোনো সুন্দর থাকবে। এছাড়া শীতে হাত সুন্দর রাখতে সহজ কিছু টিপস দিয়েছেন বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভের রূপ বিশেষজ্ঞ শারমিন কচি। রান্না ঘরের কাজ শেষে তোয়ালে দিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই হাতটা আলতো করে মুছে ফেলুন। শীতে কনুই রুক্ষ হলে গ্লিসারিন দেওয়া ও ডাল বাটা দিয়ে হালকা মালিশ করে উষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
শীতে বাইরে যাওয়ার সময় দুই হাতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।মোলায়েম ও মসৃণ রাখতে নিয়মিত স্ক্রাব ও মাস্ক ব্যবহার করুন। প্রতিদিন গোসলের আগে হাতে জলপাই তেল ব্যবহার করুন।যাদের হাতের চামড়া অত্যাধিক রুক্ষ, তারা ক্ষারযুক্ত সাবান এড়িয়ে চলুন এবং ময়েশ্চারাইজারযুক্ত সাবান ব্যবহার করুন।
হাতের হাড়ের সন্ধিস্থানে কালো দাগ থাকলে সাবান দেওয়া যাবে না। কালো দাগ মুক্ত স্থানে লেবুর রস ও মধু লাগান। চামড়া বেশি ফাটলে তিলের তেল ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত শুষ্ক হাত -পায়ে কাঠবাদামের প্যাক লাগাতে পারেন।
শীতে পায়ের যত্নে যা করবেন
দেখতে দেখতে বছর ঘুরে ফিরে এল শীতের আমের। হিম হিম ঠান্ডা হওয়ার দাপটে এই সময় ত্বক হয়ে উঠে রুক্ষ,শুষ্ক টানটান। ঋতু পরিবর্তনের সময়টাতে নিজের ত্বকের যত্ন দিকেও একটু সময় বেশি দিতে হবে।এই সময় অনেকেরই পা, পায়ের গোড়ালি ফাটে। যত্ন না নিলে এটা আরো মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। শীতে পায়ের যত্ন যা করবেন কুসুম গরম পানি নিয়ে তাতে কয়েক ফোটা শ্যাম্পু ও চন্দনের তেল মেশান।
নিম পাতাও দিতে পারেন। কিছুক্ষন পা ডুবিয়ে বসে থাকুন। পিউমিক স্টোন দিয়ে গোড়ালি, পায়ের পাতা ঘষলে মৃত কোষ উঠে যাবে।গরম পানি, লেবুর রস নুন, গ্লিসারিন মেশান এবং গোলাপ জল মেশান। ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে বসুন। পায়ে স্ক্রাবিংও করতে পারেন।ওটমিল, আমন্ড অয়েল, সৈন্ধব লবণ, মধু, চালের গুড়া ও পুদিনা তেল মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন মিশ্রণটি লাগালে পায়ের পাতা ও গোড়ালি নরম থাকবে।
ক্যাস্টর অয়েল, আমন্ড অয়েল ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভাল করে মাসাজ করতে পারেন। হালকা আঁচে মোম গরম করে ব্রাশ ডুবিয়ে ফাটা অংশে লাগিয়ে রাখুন। ঠাণ্ডা হলে সুতির মোজা পরে নিন। পরদিন সকালে গোড়ালি পরিষ্কার করে নিন। লেবুর রসের সঙ্গে দুই চামচ চিনি মেশান। লেবুর খোসার মিশ্রণটি নিয়ে গোড়ালিতে ঘুরতে থাকুন। চিনি গলে না যাওয়া পর্যন্ত এটা করতে থাকুন।
শীতকালে ত্বক ও চুলের যত্নের পরিচর্যার। দশটি টিপস জেনে নিন
চলে এসেছে শীতকাল। এই ঋতুতে উৎসব অনুষ্ঠানের পালা চলতেই থাকে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে তখন চুলের নানা ধরনের সমস্য শীতের বাতাসে আদ্রতা কমে যাওয়ার কারণে নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। এই সময় চুলের যত্ন নিতে হলে কিছু টিপস মেনে চলতে পারে।
- ভালো করে আচড়ান
চুল নিয়মিত আচড়ালে মাথার রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। এতে করে চুল ও চুলের গোড়া সুস্থ থাকে। তাছাড়া শীতকালে চুলের শুষ্কতা বেড়ে যাওয়ায় সহজেই চুলে জট বেধে যায়। চুল ভালো করে আঁচড়ালে এই সমস্যা থাকবে না।
- তেল লাগান
এটি চুলের যত্নের একটি প্রাচীন পদ্ধতি। সপ্তাহে ১-২ বার চুলে তেল লাগানো ভালো। এতে চুল রুক্ষ হওয়া থেকে বাঁচে এবং উজ্জ্বল হয়। তবে তেল দিয়ে কটার সময় রেখে দেওয়া উচিত নয়। এতে চুল সহজে ময়লা ও চিটচিটে হয়ে যায়।রাতে ঘুমানোর আগে গরম তেলের ম্যাসাজ করে সকালে বাইরে যাওয়ার আগে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। গরম তেল ম্যাসাজ করে গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখা তোয়ালে মাথায় জড়িয়ে রাখতে পারেন। এতে চুলের গোড়া ভালো শক্ত ও মজবুত হবে।
- ভিনেগার দিয়ে চুল ধুয়ে নিন
ভিনেগার চুলের রুক্ষতা দূর করতে খুবই কার্যকরী। এটি চুলে কন্ডিশনারের মতো কাজ করে। এক মগ পানির সঙ্গে দুই চামচ ভিনেগার মিশিয়ে রেখে শ্যাম্পু করার পর এই ভিনেগার মেশানো পানি মাথায় ঢলতে হবে। এতে করে চুল হবে মসৃণ ও উজ্জ্বল।
- আগা ফাটা চুল কেটে ফেলুন
শীতকালে অনেকর চুলের আগা ফেটে যায়। চুলের আগা ফেটে যাওয়া অংশ কেটে ফেলে দেওয়াই ভালো। এতে চুলের বৃদ্ধি হয় দ্রুত।
- চুলে গরম পানি দেবেন না
আবহাওয়া যাই হোক না কেন চুলে কখনোই গরম পানি ব্যবহার করা উচিত ন্য।এতে চুলের গোঁড়া নরম হয় ও চিলের নানা ক্ষতি হয়। চুলে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করতে হবে।
- অ্যালোভেরার জেল ম্যাসাজ
চুলের যত্নে অ্যালোভেরার ভূমিকা জাদুকরী। শ্যাম্পু করার আগে অ্যালোভেরার জেল দিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করে কিছুক্ষণ রাখলে চুলের রুক্ষভাব চলে গিয়ে ময়েশ্চারাইজড হয়।
- রুক্ষতা দূর করতে মধু
মধু ঘরোয়া টোটকায় খুবই উপকারী একটি উপদান। চুল নিঃষ্প্রাণ হয়ে গেলে চুলের গোড়ায় মধু দিয়ে, একটি তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে মাথায় বেঁধে কিছুক্ষণ রেখে চুল ধুয়ে নিলে চুলের রুক্ষতা কমে। চুল মসৃণ ও সুন্দর হয়।
- স্বাভাবিক ত্বকে ময়েশ্চারাইজার রাখতে
স্বাভাবিক ত্বকের অধিকারীদের ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে পাঁচ- ছয় ফোটা আমন্ড অয়েল গোলাপজল ভালো করে মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করুন। গোসলের আগে মাখন ও কমলার রস মিশিয়ে ত্বকে লাগান আর গোসলের পর ভিনেগার, অলিভ অয়েল আর মধু মিশিয়ে ত্বক ম্যাসাজ করুন। ত্বক নরম থাকবে।
শীতে বাসন মাজার পর হাতের যত্ন নেবেন যেভাবে
দেশ জুড়ে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। প্রচন্ড ঠান্ডায় অনেকে গোসল করা থেকে বিরত থাকছেন। কিন্তু ঘরের কাজ তো বাদ দেওয়া যায় না। বাড়ির গৃহিণীদের একবার যেবাসন ধোয়া, কাপড় কাঁচা সব কাজই করতে হচ্ছে। ঠান্ডা পানিতে বাসন মাজা, ঘর মোছা, কাপড় কাচার মতো কাজগুলো ভীষণ কষ্টকর।
ঠান্ডায় যেমন কষ্ট হয়, তেমনি হাতের চামড়াও কুচকে যায়। হাতের অবস্থা খারাপ হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে ঠান্ডা পানি ব্যবহার যত কম করবেন ততই ভালো। এর পাশাপাশি হাতের যত্ন কিভাবে নিবেন তার জন্য কিছু টিপস অনুসরণ করতে পারেন। যেমন
- এক হাতে যখন সমস্ত কাজ সামলাতে হয়, তখন হাতে গ্লাভস পড়ে নিন। গ্লাক্স করে বাসন মাজা, জামা কাপড় কাচার কাজ সারুক। এতে একটু হলেও আপনার হাতের চামড়া সুরক্ষিত থাকবে। পাশাপাশি ঠান্ডা পানিও কম ঘাটতে হবে।
- শীতকালে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। তে শরীর ও ত্বক হাইড্রেট থাকবে। পাশাপাশি পানির কাজ শেষ করে হাতে ময়েশ্চারাইজার মাখুন। শুষ্ক ত্বকের সঙ্গে লড়াই করতে গেলে ভেতর ও বাইরে উভয় দিক থেকে হাইড্রেট থাকা জরুরি।
- কাপড়- জামা কাঁচা কিংবা বাসন মাজার জন্য যে সব ডিটারজেন্ট ব্যবহার হয়, তাতে ক্ষারের পরিমাণ বেশি থাকে। এতে হাতের অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায়। তাই হাত ধোয়ার সময় হালকা সাবান ব্যবহার করুন।এতে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল বজায় থাকবে এবং হাতের চামড়া শুষ্ক হবে না।
- হাতের উপরও মরা চামড়ার আস্তরণ জমে। এটা দূর করতে মধু, নারকেলের তেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে হাতের উপর ঘসুন।হালকা গরম পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন।এতে হাত নরম ও কোমল থাকবে।
- কাল অনেকেই হ্যান্ড ক্রিম ব্যবহার করেন। হ্যান্ড ক্রিম ব্যবহারের সময় দেখে নিন এতে শিয়া বাটার, গ্লিসারিন বা হাইলিউরনিক অ্যাসিড রয়েছে কিনা।এই গুলো আপনার ত্বকে অতিরিক্ত আদ্রতা প্রদান করতে সাহায্য করে।
- রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় হাতে হ্যান্ড ক্রিম মেখে নিন। এরপর সুতির গ্লাভস পড়ে নিন। পরদিন সকালে আপনার হাত নরম হয়ে উঠবে।হাত ভালো রাখতে এই পদ্ধতি খুব ভালো কাজ করে
শীতের শুষ্কতায় বিশেষ ত্নয
নিত্য ব্যবহার্যয় প্রসাধনীতে পরিবর্ভারয্য সারা বছরই তোকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার জরুরী। তবে গ্রীষ্মে যে ধরনের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যায় তা শীতে যথেষ্ট নয়। কারণ এই সময় ত্বক আবহাওয়া কারণে আরও বেশি শুষ্ক হয়ে যায়।এজন্য প্রয়োজন হয় কিছুটা ভারী ময়শ্চারাইজারের।সিয়া বাটার, অলিভ অয়ে্ল, বাদামের তেল ইত্যাদি এই মৌসুমে ত্বকের জন্য উপযোগী।
- হাতের যত্ন নিন
শীতে মুখে মতো ঠান্ডায় জমে যায়। তাই হাতে তকো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।হাতের ত্বক তুলনামূলক পাতলা এবং তেল গ্রন্থিও কম থাকে, তাই হাতের নমনীয়তা ধরে রাখতে প্রতিবার হাত ধোয়ার পর এবং যখনই হাত শুষ্ক মনে হবে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে।রাতে অলিভ অয়েল মেখে ঘুমাতে পারে। আর অতিরিক্ত ঠান্ডায় হাত মোজা পড়া উপকারী।
- পানি পান
শীতে স্বাভাবিকের তুলনায় পানির পিপাসা কম পেলেও পানির চাহিদা কিন্তু কম থাকে না। শীতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় তাই বাহ্যিক যত্নের পাশাপাশি ভেতর থেকে পানির চাহিদা পূরণ করা জরুরি। তাছাড়া শরীরের সুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা দরকার।
- পায়ের যত্ন
গোড়ালি ফাটা, চামড়া ওঠা বা পা শুষ্ক হয়ে যাওয়া এই শীতে বেশ স্বাভাবিক সমস্যা। তাই পায়ের জন্য ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। গ্লিসারিন ও পেট্রোলিয়াম জেলি সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার পায়ের জন্য উপযোগী।রাতে ঘুমানোর আগে অলিভ অয়েল বা পুরু করে পেট্রোলিয়াম জেলি পায়ে মেখে মোটা মোজা পরে ঘুমাতে যান। তবে পায়ের গোড়ালি ফেটে গেলে বিশেষ যত্ন নিতে হবে।
- কেমিক্যালভিত্তিক প্রসাধনী এড়িয়ে চলুন
যাদের ত্বক শুষ্ক তাদের এই মৌসুমে পিল অফ মাস্ক, অ্যালকোহল সমৃদ্ধ টোনার এবং অন্যান্য ফেমাস এর ভিত্তিক প্রসাধনী এড়িয়ে চলা উচিত। মুখ ধোয়ার জন্য সোপ ফ্রি ফেসইওয়াশ উপযোগী এই সময়। টোনার হিসেবে গোলাপ জল ব্যবহার করা যেতে পারে।
- অতিরিক্ত গরম পানিতে গোসল নয়
শীতে গরম পানি দিয়ে গোসল আরামদায়ক মনে হলেও এই অভ্যাস ত্বক ও চুলের জন্য মোটেও উপকারী নয়। অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে গোসল করার ফলে ত্বকের স্বাভাবিক তেল হারায় যার ফলে শুষ্ক ভাব বাড়ে। তাই শীতে কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করতে হবে।
- ঠোঁটের যত্ন
শীতের ঠোঁট ফাটা এবং চামড়া ওঠার সমস্যায় ভোগেন কম বেশি সবাই। তাই সব সময় ঠোঁটে লিপ বাম বা পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে রাখতে হবে। গ্লিসারিনও ঠোঁটের জন্য উপযোগী। এই মৌসুমে সব সময় সঙ্গে লিপ বাম রাখা উচিত।
- সানস্ক্রিন ব্যবহার
অনেকেই মনে করেন শীতে রোদের তেজ কম থাকে তাই এই সময় সানস্ক্রিম অতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।তবে এই মৌসুমেও কুয়াশার চাদর ভেদ করে আসে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি যা ত্বকের জন্য সমান ক্ষতিকর। তাই ত্বক সুরক্ষিত রাখতে এসপিএফ সমৃদ্ধ ক্রিম বা লোশন মাখতে হবে ঘর থেকে বের হওয়ার ২০ থেকে ৩০ মিনিট আগে।
- নাকের ত্বকের যত্ন
শীতে নাক অনেক ঠান্ডা হয়ে যায়, এটি সহসা বোঝা যায় না। আর নাক ঠান্ডা হওয়ার কারনে সেখানকার চামড়াও বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেক সময় চামড়া ওঠার সমস্যা দেখা দেয়। তাই দরকার বাড়তি ময়েশ্চারাইজা। এছাড়া নাক বেশি ঠান্ডা হয়ে গেলে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া সর্দি হওয়া এমন বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। তাই এই দিকগুলোও খেয়াল রাখতে হবে।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আমরা হয়তোবা জানিনা যে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম. ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা চুলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম এগুলো সম্পর্কে আমাদের অনেকের ধারণা থাকে না. আপনি যদি ভিটামিন এই সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য জানতে চান তাহলে আশা করি এত সময় পুরো পোস্টটি পড়ার পরে জেনে গেছেন কিভাবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করা যায়।
আমরা রূপচর্চার কারণে বিভিন্ন ধরনের জিনিস ব্যবহার করে থাকি কিন্তু ভিটামিন ই ক্যাপসুল আমাদের ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকারী। ত্বকের পুষ্টি জোগাতে এটি বিশেষভাবে সাহায্য করে এছাড়াও চুলের খেয়াল রাখতেও কাজে লাগে ভিটামিন ই ক্যাপসুল। চুলের সমস্যা যাদের বারো মাস রয়েছে তাদের ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করাটা খুব প্রয়োজন।
আপনি যদি আমাদের পুরো পোস্টটা পড়েন তাহলে অনেক বেশি উপকৃত হবেন। আজকের লেখা আর্টিকেল যদি আপনার ভালো লাগে তবে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন এবং আপনাদের যদি কোন মন্তব্য থাকে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url