ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের ১০ টি নিয়ম



আমাদের মাঝে অনেক মানুষ আছে যারা জানতে চাই ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম। এছাড়াও ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে অনেকেই ধারণা থাকে না। আপনি যদি ভিটামিন ই এর সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে পুরো পোস্টটা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে তাহলে আপনি সঠিক তথ্যটা জানতে পারবেন। 


আমরা সাধারণত যাদের ত্বক তৈলাক্ত না হয় তারাই ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে লাগিয়ে মেসেজ করতে পারি এতে আমাদের ত্বক পরিষ্কার হয়ে যায়। বর্তমানে ভিটামিন ই ক্যাপসুল রূপচর্চার জগতে অতুলনীয় একটি উপাদান।ভিটামিন ই ক্যাপস মুখে ব্যবহারের নিয়ম অনেক সহজ। ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর গুনাগুন মুখে, ব্যবহার মাধ্যমে আমরা নিজেদের মধ্যে পেতে পারি। 

ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের কিছু নিয়ম রয়েছে, অনেকে নিজের ইচ্ছা মত ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহার করে এতে উপকারের চেয়ে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। আজ আপনাদের বলবো ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের কয়েকটি সহজ নিয়ম

ভূমিক 

ভিটামিন ই ক্যাপসুল বিভিন্ন ভাবে ব্যাবহার করা যায় আপনি চাইলে আপনার ত্বকের জেলা বাড়াতে এটি ব্যাবহার করতে পারেন। এছারাও চুলের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে আপনি যে কোনো তেলের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মালিস করতে পারেন। যে কোন তেল কেনার সময় অবশ্যই উপকরণে আপনি একবার চোখ ভুলিয়ে দেখে নিন যে কোথাও কি লেখা আছে ভিটামিন ই আছে কি।

যদি থাকে তাহলে ভালো আর না থাকলেও কোন সমস্যা নেই।আপনি চাইলে নারিকেল তেলের সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করতে পারেন এতে আপনার চুলের যাবতীয় সমস্যা দূর হয়ে যাবে। চুলের যত্নে অনেকেই তেলের মধ্যে ভিটামিন এ ক্যাপসুল মিশিয়ে ব্যবহার করেন। নতুন চুল গজাতে, মাথার ত্বকে সংক্রমণ কমাতে খুশকির সমস্যা দূর করতেও ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করার চল রয়েছে।

রাত জেগে চোখের তলায় কালি পড়েছে? চিন্তা নেই, চোখের তলার ফোলা ভাব কালচে ছোপ দূর হয়ে যাবে কিছুদিনের মধ্যেই। রাতে শুতে যাওয়ার আগে ভিটামিন ই ক্যাপসুল থেকে অয়েল বার করে চোখের চারপাশে মেখে রাখুন। 

ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম  

ভিটামিন ই ক্যাপসুল প্রথমবার ব্যবহার পূর্বে অবশ্যই ত্বকের উপরে ব্যবহার না করে হাতে বা গলায় পাশে লাগিয়ে 24 ঘন্টা রেখে পরীক্ষা করবেন যে আপনার কোন সমস্যা, চুলকানি বা কোন জ্বালাপোড়া বা কোন দাগ বের হচ্ছে কিনা। যদি কোন সমস্যা না হয়ে থাকে তাহলে বলা যায় আপনি নিশ্চিন্তে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহার করতে পারেন তবে অবশ্যই ত্বকের অবস্থা বুঝে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল আমরা কিভাবে ব্যবহার করব ই ক্যাপসুল ব্যবহার করার নিয়ম কি এটা হয়তো অনেক মানুষই জানে না। কিভাবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করতে হয় আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত না হয় তবে এই ক্যাপসুল থাকা তেল মুখে লাগিয়ে ম্যাসাজ করতে পারে। আর যদি তৈ লাগতো হয় তবে তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন গোলাপের পানি বা বডি লোশন এর সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন ভিটামিন ই ক্যাপসুল।

 তারপরে ্সেটা আপনার তৈলাক্ত মুখে লাগাতে হবে। আপনার মুখে কিভাবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করবেন দুই মধু হলুদের মিশ্রণের সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন। শীতের শুষ্ক ত্বকের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে এই প্যাক দারুন উপকারি হয়ে ওঠে।

 ব্রণ বা ত্বকের অন্যান্য দাকছক কমাতে পাকা পেঁপের সঙ্গে মধু লেবুর রস এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল সাথে নির্যাস মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন এতে করে আপনারা অনেক উপকার পাবেন।

চুলের যত্নে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর সাতটি উপকারিতা 

সুস্থ মাথার ত্বক এবং চুলের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল অপরিহার্য উপাদান। গবেষণা বলছে, চাঁদের চুল পড়া সমস্যা রয়েছে তাদের মাথার ত্বকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর পরিমাণ কম থাকে, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের ফল। ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শক্তি ফ্রি র‍্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে যেন মাথার ত্বক ও চুল সুস্থ থাকে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তেল মিশিয়ে নিতে পারেন বিভিন্ন হেয়ার প্যাকে।এই তেল সরাসরিও ম্যাসাজ করা যায় চুলের গোড়ায়।জেনে নিন চুলের যত্নে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করা কোন কোন কারনে জরুরী।
  • ২০১০ সালের হওয়া একটি গবেষণা বলছে, হেয়ার ফলিকেলের ড্যামেজ রোধ করে ভিটামিন ই ক্যাপসুল। 
  • এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল আন্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য মাথার ত্বকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। ফলে চুল পড়া কমে। 
  • ভিটামিন- ই চুলের গোড়ায় রক্ত প্রবাহ বাড়াতে পারে, যা চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে। 
  • ভিটামিন-ই মাথার ত্বকে পুষ্টি যোগায়, চুলের ভাঙ্গা রোধ করে। এছাড়া চুলের স্থিতিস্থাপকতা এবং উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে ক্ষতিগ্রস্ত চুল মেরামত করতে সহায়তা করে। 
  • ক্ষতিকর ইউভি বিকিরণ এবং দূষণ দ্বারা উৎপাদিত মুক্ত র‍্যাডিকেল্গুলো দূর করতে সাহায্য করে ভিটামিন ই। 
  • ভিটামিন ই ত্বকের পৃষ্ঠে একটি প্রতিরক্ষামূলক বাধা তৈরি করে যা আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
  • ভিটামিন ই তেল চুলের আগা ফাটা রোধ করে এবং চুলকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি চুলে যোগ করে উজ্জ্বলতা।

রূপচর্চায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের সহজ সাতটি উপায় 

মনে করেন সকাল বিকাল রূপচর্চায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে দুই তিন দিনের মসৃণ উজ্জ্বল ত্বক আর মাথা ভর্তি চুল হয়ে যাবে আপনার! পুরো ধারণা টাই ভুল।প্রেসক্রিপশন ছাড়া ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার অভ্যাস খুব অল্প সময়ে প্রেসারের জটিলতা, অতিরিক্ত ওজন, হরমোনাল ইম্ব্যালাস সহ আরো অনেক জটিল সমস্যা তৈরি করে।

 তাই মনে করবেন না এখন চুল পড়ার সমস্যা ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেয়ে ডাক্তারের অনেকগুলো খরচ বাঁচিয়ে ফেললেন, নিজের কাছে মানুষের জীবনে ঘটে যাওয়া করুন এক্সপেরিএন্স থেকে বলছি, এমন কাজ করলে পস্তাতে আপনাকে হবেই।আমি শুরুতেই সবাইকে সাবধান করে দিতে পছন্দ করি।


 কারণ অনেকেই প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঔষধের ঝুঁকি গুলো এমন একটা লেভেলে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেন যেন ডাক্তারদের এত বছরের অভিজ্ঞতা, পড়াশোনার কোন মূল্যই নেই! তাই আজ আরেকবার আপনাদের এই ব্যাড প্র্যাকটিসের ভবিষ্যতের কথা মনে করিয়ে দিয়ে আজকের লেখার জানাবো।

 টপাটপ ট্যাবলেট খেলে কত কষ্টের ঝুঁকিপূর্ণ পথ ছাড়াও আপনি কিভাবে এই অতি সহজল্ভ্য ভিটামিন ই ক্যাপসুলের সাহায্যে পেতে পারেন সুন্দর সুস্থ ত্বক, চু্‌ল, নখ ইত্যাদি।কনফেকশন দূর করার জন্য আর একবার বলে দেই যেমনঃ 
  • আমি কোন কসমেটিক শপে পাওয়া চাইনিজ স্কিন বা হেয়ার ক্যাপসুলের কথা বলছি না। আমি ফার্মেসিতে যে ভিটামিন ই ক্যাপসুল পাওয়া যায় সেই ক্যাপসুলের কথা বলছি, যেগুলো খাওয়া হয়।
  •  এগুলো সবুজ হয় আর হাই পাওয়ারের গুলো কমলা হয়। কমলাটার দরকার নেই। নিচে যে কাজগুলো করতে বলব তা যদি কেউ ট্রাই করতে চান সবুজ টাই যথেষ্ট।
  • খাওয়ার জিনিস কি মুখে দেওয়া যায়? তাদের জানিয়ে দিচ্ছি যে, খাওয়ার ক্যাপসুল মুখে চুলে,হাতে, পায়ে সবখানে মাখা যায়। কারণ এগুলো নির্ভেজাল।সাইড ইফেক্ট হবার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।আপনাদের জন্য এই ভারী ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল কম খরচেই লাক্সারিয়াস বিউটি ট্রিটমেন্টের রেজাল্ট দেবে যেমন।

 ভিটামিন ই ক্যাপসুল স্কিন সিরাম

  যদি বডি শপ এর একটা ভিটামিন ই ফেসিয়াল সিরাম আছে। মারছে।বাজি রেখে বলতে পারি ভিটামিন ই ক্যাপসুল যদি আপনি ত্বকে ব্যবহার করেন তবে বডি শপের সিরামের মতই রেজাল্ট পাবেন।ড্রাই আর নরমাল স্কিনের অধিকারীরা ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল ত্বকে ফোঁটা ফোটা লাগিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করে বসিয়ে দিন। আর তৈলাক্ত ত্বক হলে। আপনাদের জন্য তেলটা খুব ভারী হবে।

 তাই মাত্র এক ফোটা তেল প্রথমে দুই হাতে নিয়ে ঘষুন এরপর হাত দুটো মুখে পাঁচ সেকেন্ড চেপে ধরুন। হয়ে গেল আপনার সিরাম লাগানো। এভাবে ভিটামিন ই ব্যবহার করলে আপনার আর অন্য কোন নাইট ক্রিম বা সিরাম ব্যবহারের দরকার পড়বে না। আর এই টিপসে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন একটু বয়স্করা। কারণ আপনাদের ত্বকের ফাইল লাইন দূর করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খুবই ভালো হবে। 

ভিটামিন ই হেয়ার সিরাম 
 চুল পড়ে যাওয়া বন্ধ করতে আর রিবনডেড বা কালারড চুলের যত্নে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খুবই ভালো হবে।বেশি উপকার পেতে ২-৩ টি ক্যাপসুল ভেঙ্গে ভারী তেলটা একটা পাত্রে নিয়ে স্ক্যাল্প আর চুলে লাগিয়ে নিন। সারারাত রেখে পরের দিন ধরে ফেলুন।যদি আপনার মনে হয় এই টিটমেন্টটা আপনার জন্য বেশি ভারী হয়ে যাচ্ছে,

 শ্যাম্পু করলে যাচ্ছে না তবে এক টেবিল চামচ নারিকেল তেলের সাথে একটা ক্যাপসুল ভেঙ্গে ব্যবহার করুন। খুব সহজে শ্যাম্পু করতে পারবেন।

 
 ভিটামিন ই নাইট ক্রিম  

জানে একমাত্রা তাই করতে অনেকেই ভয় পাবেন। কারণ ফেসিয়াল অয়েল জিনিসটা এখনো এ দেশে তেমন জনপ্রিয় না। তাদের জন্য এই টি।পস আপনি পছন্দের নাইট ক্রিম বা হালকা বেবি ক্রিম নিন। এবার এই কৌটার ক্যাপসুল এর তেল ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার এই ক্রিম রেগুলার ব্যবহারে আপনি এক্সট্রা ভিটামিন ই এর গুণটা পাবেন। এইভাবে আপনার প্রিয় বডি লোশনেও ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভেঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

কনুই আর হাঁটুর জেদি কালো দাগ দূর করতে 
 দীর্ঘদিনের পুরনো স্কিন ড্যামেজের দাগ দূর করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর কোন তুলনা নেই। আপনার কনুই আর হাঁটুতে যদি এমন দাগ থাকে তবে রেগুলার একটা ক্যাপসুল এর তেল নিয়ে বা মুখে ব্যবহার করার পর অতিরিক্ত যে তেলটুকু বাকি থাকে তা কনুই আর হাঁটুতে লাগান। দুই তিন সপ্তাহে ব্যবহারে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখতে পাবেন।


 মসৃণ, গোলাপি ঠোঁট পেতে 

মুখে, হতে পায়ে লাগিয়ে যেটুকু তেল থাকবে সেই তেলের ফোটা টা হতে ভালোভাবে লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। কালো, ফাটা ঠোঁটের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন। আপনার পছন্দের লিপবাম বা ভ্যাস্লিনের সাথে ক্যাপসুল ভেঙ্গে মিশিয়ে সেটাও রেগুলার ব্যবহার করতে পারেন।

চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে 

অনেকেই আছেন যারা চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে খাঁটি বাদাম তেল ব্যবহার করেন। তার সাথে যদি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তেল মিশিয়ে নিন তবে খুবই কম সময়ে ভালো ফল পাবেন। সাজ গোজে এর আগে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তেল দিয়ে আন্টি ডাক সার্কেল সিরাম রেসিপি দিয়েছিলাম। সেটাও ফলো করতে পারেন।


অনেক পুরানো কাটা দাগ অথবা ব্রণের দাগ দূর করতে 

আপনার ত্বকে যদি অনেক পুরানো কাটা দাগ, ব্রনের দাগ থাকে তবে রেগুলার সেই দাগে এক দুই ফোঁটা করে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল লাগিয়ে রাখুন। ধীরে ধীরে একটু হলেও দাগটা হালকা হবে। এধরনের দাগ হালকা করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তেল খুবই কার্যকরী। 

ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় 

সুন্দর কে না হতে চাই। আমরা সবাই সুন্দরের পূজারী। নিচে সাতটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় দেওয়া হলো 
  •  ভিটামিন ই ক্যাপসুলটিকে ভেঙ্গে প্রাপ্ত এক চামচ ভিটামিন ই তেলের সাথে দুই চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ব্যবহার করার আগে আপনার ত্বক সঠিকভাবে পরিষ্কার করুন। এই মিশ্রণটি আপনার মুখ এবং ঘাড়ে ৫ মিনিটের জন্য ম্যাসাজ করুন। তারপর সারারাত আপনার ত্বকে রেখে সকালে ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণটি নিয়মিত প্রয়োগে আপনার ত্বককে করবে ফর্সা, উজ্জ্বল এবং লাবণ্য।
  •  চারটি টুকরো পাকা পেঁপে নিন এবং গ্রিন্ডার মিক্সারে পেস্ট করে নিন।এরপর, দুইটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল খুলে তেল গুলো নিন। তারপরে পেঁপের পেস্টে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল গুলো মিশেয়ে সারা মুখে লাগান। এই আপনার নিস্তেজ ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করবে এবং এটিকে ফর্সা, উজ্জ্বল এবং লাবণ্য করে তোলে।
  •  এই ক্যাপসুল আমের পাল্প এবং ওটস  দুই টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল খুলে সেল গুলো দিন এবং তেলটি তিন চামচ আমের পাল্প এবং দুই চামচ ওটস দিয়ে মিশিয়ে নিন। এর পরে, এই মিশ্রণটি আপনার মুখে এবং ঘাড়ে লাগান এবং এটি শুকাতে দিন এবং তারপর কিছুক্ষণ রেখে আস্তে আস্তে ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণটি আপনার ত্বককে ব্ল্যাকহেডার্স,হোয়াইটহেডস এবং মৃত ত্বকের কোষগুলি থেকে মুক্তি দেবে এবং বাইরের দিকে একটি সতেজ এবং নতুন ত্বক প্রকাশ করবে। ফলাফলে পাবেন একদম উজ্জ্বল, মসৃণ এবং লাবণ্যময় ত্বক।
  •  গোলাপ জল গ্লিসারিন এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল ২ চামচ গোলাপ জলের সাথে এক চামচ গ্লিসারিন এবং এক চামচ ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তেল একসাথে মিশয়ে মিশ্রণটি তৈরি করুন। তারপর আপনার মুখে প্রয়োগ করুন। এটি আপনার ত্বকে উজ্জ্বলতা এবং লাবণ্য দিবে। 
  • দারুচিনি, মধু এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল প্রথমে একটি দারুচিনিকে পাউডার করে নিন। এক চামচ দারুচিনি পাউডারের সঙ্গে এক চামচ মধু এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপাদান মিশিয়ে মিশ্রণ করে মুখে লাগান। তারপরে এটি সম্পূর্ণরূপে শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণটি আপনার ব্রণ দূর করে এবং আপনার ঝুলে যাওয়া ত্বককেও শক্ত করে। এছাড়াও, এটি আপনাকে একটি উজ্জ্বল এবং লাবণ্যময় ত্বকের টোন দেয়। 
  • গ্রিন টি প্যাক, মধু, ভাত, ভিটামিন ই ক্যাপসুল দুইটি ব্যবহৃত গ্রিন টির প্যাক নিয়ে সেগুলোকে পুরোপুরি গুঁড়ো করুন এবং এতে মধু, চালের আটা এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুলে থেকে প্রাপ্ত ভিটামিন ই তেলের সাথে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন। তারপরে পাঁচ মিনিটের জন্য মিশ্রণটি আপনার মুখে আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন এবং এটি আপনার ত্বকে ১৫ মিনিটের জন্য রাখুন। ১৫ মিনিট পরে হালকা ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার ত্বকে তাত্ক্ষণিকভাবে লাবণ্যময় এবং তারুণ্যের আভা প্রদান করবে।
  • মিল্ক পাউডার এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল  চামচ দুধের গুঁড়া এবং দুই চামচ ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তেল মিশিয়ে মিশ্রণটি রেডি করুন। তারপরে এটি আপনার মুখে লাগে কিছুক্ষণ পরে ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণটি আপনার ত্বককে গভীরভাবে হাইড্রেট করে এবং লাবণ্যময় করে তোলে। ঘরে বসে ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় গুলো চেষ্টা করে দেখুন ইনশাল্লাহ ভালো ফলাফল পাবেন। 

ভিটামিন ই কোন কোন খাবারে পাওয়া যায় ?  

ভিটামিন ই অনেক খাবারের পাওয়া যায়। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করলে শরীরে এর ঘাটতি মেটে। ফলে ত্বকের জিল্লাও হয় দেখার মতোই। আপনাকে খেতে হবে যেসব খাবারগুলি। যেমনঃ 
  • ব্রকলি 
  • পালং শাক 
  • সবুজ শাক-সবজি 
  • বাদাম ,বীচ 
  • ভেজিটেবল ওয়েল যেমন সানফ্লাওয়ার অয়েল।

 লেখক এর মন্তব্য 

প্রিয় পাঠক আমরা হয়তোবা জানিনা যে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম। ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা চুলে ভিটামিন এই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম গুলো সম্পর্কে আমাদের অনেকে ধারণা থাকে নাআপনি যদি ভিটামিন এর সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য জানতে চান তাহলে আশা করি এই সময়ে পুরো পোস্টটি পড়ার পরে জেনে গেছেন কিভাবে ভিটামিন এই ক্যাপসুল ব্যবহার করা যায়।

আমরা রূপচাঁদ চাই কারণে বিভিন্ন ধরনের জিনিস ব্যবহার করে থাকে কিন্তু ভিটামিন ই ক্যাপসুল আমাদের ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকারি। ত্বকের পুষ্টি জোগাতে এটি বিশেষভাবে সাহায্য করে এছাড়া চুলের খেয়াল রাখতেও কাজে লাগে ভিটামিন এ ক্যাপসুল। চুলের সমস্যা যাদের বারোমাস রয়েছে তাদের ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করাটা খুব প্রয়োজন।

 আপনি যদি আমাদের পুরো পোস্টটা পড়েন তাহলে অনেক বেশি উপকৃত হবেন। আজকের লেখা আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে তবে প্রতিদিন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। এবং আপনাদের যদি কোন মন্তব্য থাকে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url