জাফরান ব্যবহারের ১০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা



আপনারা সবাই কিন্তু জাফরান সম্পর্কে শুনে বা জানি। কেউ কেউ ব্যবহারও করি। কিন্তু এটি এতটাই ব্যয়বহুল যে সবার পক্ষে ব্যবহার করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। কিন্তু অল্প পরিমান জাপান ব্যবহার করলেই এর উপকারিতা পাওয়া যায় তাই সেই দিক চিন্তা করে অনেকটাই সাশ্রয়। এই ন্যাচারাল এবং জনপ্রিয় উপাদানটি উপকারিতাও কিন্ত অনেক। আজকে আমরা জাফরানের উপকারিতা ও কার্যকারিতা সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো।জাফরান ক্রোকাস স্যাটিভা নামের একটি এক্সোটিক বা বহিরাগত ফুল থেকে আহরিত হয়।

এটি মূলত ইরান, ভারত এবং গ্রিসের কিছু এলাকাতে হয়। বাংলাদেশের না হওয়ার কারণে এর দামটা একটু বেশি। এটি মূলত ফুড কালারিং এজেন্ট হিসেবে বিভিন্ন খাবার এবং পেস্ট্রিতে ব্যবহার করা হয়। ৩৫০০ বছর আগে থেকে এর চাষ হয়ে আসছে এবং প্রায় ৯০টিরও বেশি রোগের সমাধান দিয়ে থাকে এই উপাদানটি। ঠান্ডা ঠান্ডা, কাশি, ঘুম না হওইয়া, কার্ডিও ডিজিজ বা হার্টের সমস্যা, গর্ভাবস্থায় ত্রৈমাসিক কার সহ আরো অনেক সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকে।

ভূমিকা

 আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য জাফরান গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। উপকারিতা এবং অপকারিতা জানার পরে জাপান ব্যবহারের নিয়ম জেনে নিতে হবে। জাপানের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান। খাবার আগে জাপানের উপকারিতা ও অপকারিতা কি? ভালোভাবে জেনে তারপরে খাওয়া উচিত। এছাড়া জাফরান ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে কেউ আলোচনা করা হবে। জাপানের কিছু পুষ্টিগুণ আমরা ভালোভাবে জেনে নেব।

যেমন জাফরানে আছে ম্যাংগানিজ এন্টি ইনফ্লামেটরি এবং এন্টি ফাংগাল এজেন্ট বা ব্লাড সুগার নিরাময় করে শরীরের প্রয়োজনীয় হরমোন বিকাশ করে। এছাড়া আছে ভিটামিন সি যা ফেইস এবং শরীরকে ইনফেকশন বা সংক্রমণ হওয়া থেকে রক্ষা করে। এর স্পেশাল সুগন্ধযুক্ত স্বাদ খাবারে আনে একস্ট্রা টেস্ট। এতে আছে এন্টিমুটাজেনিক এবং এন্টিটেসিভ এজেন্ট যা টক্সিকেশন সরিয় স্কিনের সেন্সিটিভিটি দূর করে।

এছাড়া এর এন্টিসোলার এজেন্ট রোদে পোড়া কালচে দাগ দূর করে সানবান থেকে রক্ষা করে। তোকে খুব ভালোবাসি ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।। এটি স্কিনের ইরিটেশন দূর করে স্কিনকে হাইড্রেড করে। এতে ত্বক ভেতর থেকে গ্লো করে এবং স্কিনকে করে আরও সজীব।

জাফরান ব্যবহারের নিয়ম  

জাফরান আমরা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারি, কিন্তু জাফরান ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই জানে না। জাফরান এই সুন্দর রংয়ের কারণ, জাফরানের এক ধরনের ক্যারোটিন থাকে, পানি পানি সঙ্গে মিশে কমলা রঙের সৃষ্টি হয়। যাক ক্রসিন বলে থাকে। এর জন্য আমরা যেকোনো খাবারে জাফরান ব্যবহার করলে এর রং সোনালী বর্ণের হয়ে যায়। আমরা জাফরান অনেক কাজে ব্যবহার করে থাকি। জাফরান ব্যবহারের নিয়ম জেনে নিন সালমাযেমন, জাফরান আমরা রান্নার কাজে ব্যবহার করে থাকি। কোন মিষ্টি খাবার যেমন, পায়েস এর মধ্যে জাফরান দিলে এর সৌন্দর্য অনেক বেড়ে যায় এবং স্বাদ বেশি লাগে।

 এবং জাফরান দিয়ে চা বানালে চা খেতে যেমন সুন্দর হয় দেখতে ও অনেক সুন্দর হয়। আমরা রূপচর্চার কাজেও এই জাফরান ব্যবহার করে থাকি। জাফরান দিয়ে আমরা তেল বানিয়ে ও ব্যবহার করতে পারি। যা আমাদের চুলকে সুন্দর করতে সাহায্য করে। এবং এই তেল ত্বকে ও ব্যবহার করা যায়, যা আমাদের ত্বক কে ভালো রাখতে সাহায্য করে। যার ত্বক অনেক রুখ্য তারা এই জাফরানের তেল ব্যবহার করতে পারেন। কাশ্মীরের মেয়েদের সুন্দর হওয়ার প্রধান কারণ হলো এই জাফরান ওরা সব কিছুতেদ জাফরান ব্যবহার করে।

জাফরান এর উপকারিতা  

জাফরানের যেমন দাম তেমনই এর উপকারিতা। এই মশলাটির রয়েছে বহুমাত্রিক গুনাবলী ও উপকারিতা। এক নজরে জাফরানের উপকারিতা গুলো জেনে নেওয়া যাক মুল্যবান এই মশলাটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ম্যাঙ্গানিজ,কপার, আয়রন, ভিটামিন সি সহ ১৫০ টি উপাদান যা কিনা মানব শরীরের অনেক উপকারে আসে। জাফরানের রয়েছে ক্রোসিন যা কিনা শুধুমাত্র খাবারের রংই পরিবর্তন করে না। এই ক্রোসিন মানব শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের কোষ যেমন- ওভারিয়ান, কাসিনোমা, লিউকেময়া প্রভুতি ধবংস করতে সহয়তা করে থাকে। 

আর জাফরান এক প্রকার ক্যারোটিন থাকে যা কে ক্রোসিন বলা হয়ে থাকে। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে জাফরানের রয়েছে দারুন কার্যকরিতা।সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় উঠে এসেছে জাফরান মানুষের স্মৃতিশক্তি বেড়াতে সাহায্য করে। আর অনেক আগে থেকেই স্মৃতিশক্তি এবং পারকিনসন হাড়িয়ে যাওয়ার লোকদের চিকিৎসায় জাপানে জাফরান ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে।স্মৃতিশক্তি বাড়াতে জাফরান এর বিশ্বজোড়া খ্যাতি রয়েছে।

জাফরান এর অপকারিতা  

জাফরানের উপকারিতা ও অপকারিতা কি? যেহেতু এই বিষয়ে আলোচনা করছি সেহেতু আমাদের উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। অনেক সময় উপকারিতা জেনেই আমরা যে কোনো খাবার খেয়ে ফেলি কিন্তু যে খাবারের উপকারিতা হয়েছে তার কিছু অপকারিতা রয়েছে এ বিষয়ে অবশ্যই আমাদের ধারণা রাখতে হবে।

 জাফরান ব্যবহারে আমাদের জন্য অনেকটা নিরাপদ। এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সঠিক নিয়মে ব্যবহার করতে হবে। যদি আমরা সঠিক উপায় ব্যবহার না করি তাহলে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদি অতিরিক্ত পরিমাণে জাফরান গ্রহণ করা হয় তাহলে এলাজিজনিত সমস্যা দেখা দেয় এছাড়া পেটব্যথা পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা এবং বমি বমি ভাব হতে পারে। 

জাফরান দুধ খাওয়ার নিয়ম  

সবকিছুর একটি নিয়ম রয়েছে তেমন নিশ্চয় জাফরান দুধ খাওয়ার নিয়ম রয়েছে কিছু। তবে জাফরান দুধ খাওয়ার স্বাস্থ্যকর একটি প্রচালিত প্রথা। এটি খুবই এন্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত একটি দামি মসলা। এই জাফরান দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়। জাফরান দুধ খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে, এক গ্লাসের দুধের সাথে ১ বা ২ টি দানা মিশিয়ে খাওয়া দিনে একবার বিশেষ করে রাতের বেলা ঘুমাতে যাওয়ার আগে। 

দুধ গরম করে এতে ১ বা ২টি দানা যোগ করে কিছুক্ষণ রেখে দিন। তাহলে জাফরানের দানাগুলি ভালো করে মিশে গেলে তখন জাফরান দুধগুলি খেয়ে ফেলুন। তবে জরায়ুর সমস্যা এড়াতে বেশি জাফরান সেবন থেকে দূরে থাকুন।

জাফরান দিয়ে কফি খেলে কি উপকার হয়  

 জাফরান কফির উপকারিতা পাওয়া যায়। সাধারণত আমরা অনেকেই কফি খেয়ে থাকি। যদি আপনি কফির উপকারিতা আরো বাড়াতে চান তাহলে আপনাকে নিয়মিত কফির সাথে সামান্য পরিমাণে জাফরান মিশাতে হবে। এই উপাদানটি তৈরি করা খুব সহজ। প্রথমে আপনাকে কফি তৈরি করে নিতে হবে যেভাবে আপনি প্রতিদিন কফি তৈরি করেন সেই ভাবে। কফি তৈরি করা হয়ে গেলে কফির উপরে সামান্য পরিমাণে জাফরান দিয়ে দিন।

 এরপরে কফি খেয়ে ফেলুন। বিশেষ করে সকালে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। কারণ আমরা জানি যে কফি খাওয়ার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান। যদি নিয়মিত কফি খাওয়া যায় তাহলে এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকার হবে। এর সাথে যদি সামান্য পরিমাণে জাফরান মেশানো যায় তাহলে উপকারিতা আরো বেড়ে যাবে।

 যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তিত সাধারণত তাদের জন্য কফি এবং জাফরান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি নিয়মিত কফির সাথে সামান্য পরিমাণে জাফরান মিশিয়ে প্রতিদিন খাওয়া যায় তাহলে এটি আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট দূর করতে কার্যকারী ভূমিকা রাখবে। তবে এই উপাদানের সাথে সামান্য পরিমাণ হলেও চিনি ব্যবহার করা যাবে না। এই বিষয়টি অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে।

জাফরান খেলে ত্বক ফর্সা হয়  

জাফরান খেলে বা ব্যবহার করলে ত্বকের জন্য উপকারী হয়ে থাকে। জাফরান খাওয়ার সাথে ত্বক ফর্সা হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই। তবে নিয়মিত জাফরান খাওয়ার ফলে, এতে থাকা নানা পুষ্টিগুণ আমাদের ত্বকের সংক্রমণ এরাতে এবং ত্বক মসৃণ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া জাফরান দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহারে ত্বক ফর্সা বা উজ্জ্বল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চলুন জেনে নেই জাফরান খেলে কি ত্বক ফর্সা হয় নাকি হয় না।

 জাফরানে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান,যা নিয়মিত খাওয়ার ফলে আমাদের ত্বককে ফ্রি র‍্যডিকেল থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এছাড়া ও আমাদের ত্বকে থাকা নানা ধরনের দাগ দূর করতে, ক্ষত সারাতে,ত্বক কুচকে যাওয়া থেকে এবং ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ত্বকের যেকোনো ব্যথা কমাতে জাফরান খাওয়া যেতে পারে। কারণ জাফরনে রয়েছে আন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান।

 কাজেই নিয়মিত জাফরান খেলে ত্বকে থাকা ব্রণের ব্যথা বা অন্য যেকোন ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া ও ত্বকের আরো অন্যান্য সমস্যার সমাধানে বা চিকিৎসা ক্ষেত্রে জাফরান ব্যবহার করা যেতে পারে।জাফরান ত্বকে থাকা মৃত কোষগুলোকে উজ্জীবিত করতে সাহায্য করে এবং নতুন কোষের সৃষ্টি বা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। 

 নিয়মিত জাফরান খাওয়ার ফলে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়, যা আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে কাজ করে এবং ত্বক রাখে মসৃণ। এছাড়া জাফরান খাওয়ার ফলে আমাদের ত্বকে রোদের যে কালো দাগ পড়ে তা দূর করতে সাহায্য করে।

রূপচর্চায় জাফরানের ব্যবহার 

রূপচর্চায় জাফরানের ব্যবহার বহুল প্রচলিত ও সমাদৃত। জাফরান একটি খুবই উপকারী মসলা। যা প্রাণের ব্যবহার সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এটা খাবারে বা রূপচর্চায় এমন কি ওষুধ হিসাবেও স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে খুবই সাহায্য করে। আমরা আজকে জাপানের সব ধরনের ব্যবহার সম্পর্কে জানব। রূপচর্চার জন্য জাফরানের ব্যবহার বিধি নিচে আলোচনা করা হলো।

  • জাফরান ও চন্দনের ব্যবহার রূপচর্চার জন্য চন্দন খুবই উপকারী এর সাথে গোলাপজল এর ব্যবহারের তুলনাহীন। ত্বকের জন্য এই উপাদানগুলো সম একটি সুন্দর ফেসপ্যাক বানাতে সম্ভব। এক চামচ চন্দন পাউডার এর সাথে পাঁচ থেকে ছয়টি জাফরান এর গুড়া মিশিয়ে নিলে নিতে হবে। এরপর গোলাপ জল দিয়ে সুন্দর একটা ঘন পেস্ট বানাতে হবে। এবং এই পেজটি যদি 15 মিনিট আপনি মুখে রেখে দেন এবং পরে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলে তবে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে। 
  • জাফরান ও ব্রাউন সুগারের ব্যবহার জাফরান ও ব্রাউন সুগার ব্যবহার করে ত্বকের কালচে ভাব যেসব জায়গায় বিদ্যামান সেসব জায়গাগুলোতে ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। 
  • জাফরান ও গোলাপ জলের ব্যবহার ত্বকের উপকারী টোনার তৈরি করার জন্য জাফরানো গোলাপ জলের ব্যবহার খুবই প্রচলিত। এই মিশ্রণের অনেক টোনার বাজারে হর হামেশাই বিক্রি করা হয়। 
  • জাফরান ও বাদাম তেলের ব্যবহার বাদামের তেলে যদি জাফরান ভিজিয়ে রাখা যায় এবং সেটা যদি রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করা যায় তবে সেটা মশ্চারাইজার হিসেবে খুব ভালোভাবে কাজ করে।

জাফরানের দাম   

যশবন্তপুর এবং বাংলাদেশের চাষ না হয় সকল প্রকার। যার ফলে জাপানের দাম অনেক বেশি। যেহেতু জাফরান চাষ করার সময় সাপেক্ষ ব্যাপার এবং প্রায় এক কেজির ফুল থেকে মাত্র্রা৭০ থেকে ৭৫গ্রাম জাফরান পাওয়া যায় তাই জাফরানের দাম অনেক বেশি।মাত্র এক গ্রাম জাফরির দাম বাংলাদেশে তাই ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। ১০০ গ্রাম জাপানের দাম পড়বে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।সাধারণত জাফরান খাদ্যে অল্প পরিমাণে ব্যবহার করা হয়।

লেখকের বক্তব্য

 প্রিয় পাঠক আশা করি জাফরান সম্বন্ধে কিছু অজানা তথ্য হলেও আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পেরেছি।জাফরান সম্বন্ধে কিছুটা হলে ও ধারণা দিতে পেরেছি আশা করি যদি আর্টিকেলটি আপনার পড়তে ভালো লেগে থাকে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন আর কোন মন্তব্য বা কিছু জানার থাকলে আমাকে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url