সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার উপায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত

আপনি কি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার উপায় জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এই ব্লগ পোস্টটি আপনার জন্য খুবই উপকারী হতে পারে।কারণ আমরা আজকের ব্লগ পোস্টে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যটফর্ম গুলো ব্যবহার করে কিভাবে মার্কেটিং করে ব্যবসাকে সামনের দিকে অগ্রসর করা যায় এই বিষয়েও আলোচনা করা হবে।

 বর্তমান যুগে যত প্রকার মিডিয়া রয়েছে তার মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া অন্যতম। সোশ্যাল মিডিয়া উপকারিতা আমাদের জীবনে কতটা প্রভাব বিস্তার করেছে তা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের যোগাযোগের ক্ষেত্রকে যেমন সহজ করে দিয়েছে তেমনি আমাদের কর্মক্ষেত্রকে করে তুলেছে আরো আকর্ষণীয়। যেখানে ব্যবসায়ি ও কোম্পানির মালিকরা তাদের সেবা গুলোকে সঠিকভাবে গ্রাহকদের নিকট সুন্দর ভাবে রিপ্রেজেন্ট করতে পারে।

 সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার উপায় জানার পাশাপাশি আজকের ব্লগ পোস্টে ভিজিট করে আপনারা আরও যে সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন সেগুলো হলো- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর গুরুত্ব, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কোর্স, সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং শিখতে কতদিন সময় লাগে, দশটি সোশ্যাল মিডিয়ার নাম ইত্যাদি। 

ভূমিকা 

আধুনিক সময়ে যখন আপনার ব্যবসার বিপণ্নের কথা আসে, তখন কোন সন্দেহ নেই যে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংকে উপেক্ষা করতে পারবেন না। এটি সেই কয়েকটি বিপণ্ন কৌশগুলির মধ্যে একটি যা সর্বোচ্চ ROI প্রদান করতে পারে তা নির্বিশেষে আপনি যে শিল্পের সাথে যুক্ত হন।স্থানীয় স্টোর থেকে শুরু করে বিশ্বের কিছু বড় ব্যান্ড সবাই বিজ্ঞাপন দেয় এবং সোশ্যাল মিডিয়া নিজেদের বাজারজাত করে আপনিও যদি এটি দিয়ে শুরু করতে চান কিন্তু কোথায় থেকে শুরু করবেন সে সম্পর্কে কোন ধারণা না থাকলে, চিন্তার করবেন না।

 আমরা আপনাকে কভার করছি কারণ এই নিবন্ধনে আমরা আপনাকে সবকিছু সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি সামাজিক মিডিয়াম মার্কেটিং এর উপকারিতা থেকে শুরু করে আপনার এসএমএম প্রচারাভিযানের সাফল্য নিশ্চিত করার জন্য যে পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করা উচিত সেগুলি সম্পর্কে আপনার জানা উচিত। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেট এর অনেক সুবিধা আছে যা আপনি অন্য মার্কেটিং পদ্ধতিতে পাবেন না। 

৭টি ধাপে সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট মার্কেটিং  

কনটেন্ট মার্কেটিং অনেক ধরনের হতে পারে, কনটেন্ট রিটেটিং মার্কেটিং, অডিও, ভিডিও, ইমেজ ও টেক্সট কনটেন্ট। বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে কানেক্টেড। কনটেন্ট এর জন্য সোশ্যাল মিডিয়া বর্তমানে একটি বড় ও সহজ প্ল্যাটফর্ম এ পরিণত হয়েছে। টার্গেট কাস্টমারদের কাছে আপনার কনটেন্ট পৌঁছানোর অনেক উপায় রয়েছে, তবে তার মধ্যে সবচেয়ে সহজ হলো সোশ্যাল মিডিয়া। এই ৭ ধাপে সোশ্যাল মিডিয়ার কনটেন্ট মার্কেটিং করে একটি ব্র্যান্ড কে প্রমোট করতে পারা যায়। যেমনঃ 
  • বিল্ড ইউর ব্র্যান্ড কনটেন্ট মার্কেট এর জন্য আমরা প্রথমে নিজ ব্যান্ড এর একটি ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করব এবং ব্যান্ড সম্পর্কে ধারণা দিবো। 
  • ব্র্যান্ড স্ট্র্যাটেজি একটি ব্যান্ডের মধ্যে কিছু বিষয় লক্ষ্য করা প্রয়োজন,ব্র্যান্ডটি এখন কি অবস্থায় আছে? আমাদের মিশন স্টেট্মেণ্ট কি? আমাদের বর্তমান কাস্টমার কারা? আমাদের কত বাজেট খরচ করতে হবে। 
  • ব্র্যান্ড এ ওয়ানেস বাড়ানো ব্যান্ড আওয়ানেস বাড়ানোর জন্য আমাদের শুধুমাত্র একটি চ্যানেল হিসাবে বিবেচনা করার পরিবর্তে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্র্যান্ড বিল্ডিং টুল হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। 
  • নতুন অডিয়েন্স দের কাছে রিচ করা। ব্রান্ড ও অর্গানাইজেশন গুলি তাদের অডিয়েন্স দের সাথে কানেক্ট থাকতে হবে, ব্র্যান্ড আওয়ানেস বাড়াতে এবং বিজনেস চালাতে প্রতিদিন সকল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে একটিভ থাকতে হবে।
 সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কগুলিতে এঙ্গেইজড থাকলে আপনার পেজ বেশি রিচ পাবে, নতুন কনটেন্ট এবং নতুন প্রোডাক্টে সার্ভিসের মাধ্যমে ও রিচ বাড়ানো সম্ভব।যেমন মিনি গেমসঃ 
  • ইউনার হওয়ার জন্য কমেন্ট করুন অংশগ্রহণকারীরা একটি কমেন্ট করলে পাবেন আকর্ষণীয় গিফট। 
  • ২ ক্যাপ ক্যাপশন প্রতিযোগিতা- ক্যাপশন লিখে সবচেয়ে বেশি লাইক পেয়ে জিতে নিন একটি গিফট।
  •  ফিল ইন দা ব্লাষ্কঃ শূন্যস্থান পূরণ ক্রুন।
এর মাধ্যমে অগানিক রিচ পাওয়া সম্ভব। কনটেন্ট শেয়ার বাড়ানোঃ প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট শেয়ার করে পেজ বা ব্র্যান্ড কে টার্গেট কাস্টমার এর কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। সোশ্যাল মিডিয়া শিয়ার বাড়ানোর জন্য, আপনাকে প্রথমে আপনার অডিয়েন্স এর পছন্দ অর্থাৎ তারা কি চায় বুঝতে হবে।

 আমাদের বেশিভাগের মাথায় বেসিক ধারণা গুলি আসে ভালো কিছু কনটেন্ট লেখা তবে, শুধুমাত্র আপনার কাছে কনটেন্ট গুলো ভালো থাকার অর্থ এই নয় যে আপনার ফলোয়ার্স বা টার্গেট কাস্টমার ইন্টারেস্টিড হবে। তাই ট্রেন্ড এবং রিলেটেড কনটেন্ট ফলো করতে হবে।
  • ওয়েবসাইট ট্রাফিক বাড়ানোঃ ট্রাফিক ওয়ার্ড টার সাথে আমরা সবাই পরিচিত, সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট এ ওয়েব ট্রাফিক পাওয়া টা ওর্থ ব্যাপার। কারণ, যখন একটি ছোট বিজনেস এর কথা আসে, তখন আপনার বিজনেস বড় না হওয়ার সত্বেও আপনি অনেক বেশি লোককে লাইনে অপেক্ষা করাতে চান, আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিকের পরিমাণ বাড়ানো আপনার অনলাইন সাফল্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আপনি আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়াতে এবং ট্রাস্টেড কাস্টমার পেতে কিছু স্টেপ ফলো করতে পারেন। 
  • ভয়েস অফ অথোরিটিঃ অডিয়েন্সকে আপনার সাইটে আসার বিষয়ে উৎসাহিত করুন। অথরিটি হিসেবে নিজেকে সেট আপ করতে হবে। আপনার বিজনেস তার একমাত্র চয়েজ নয়। যেহেতু আপনার কম্পিটিটার আছে, আপনার দর্শকদের বোঝাতে হবে যে কি কারনে আপনি অন্যদের চেয়ে আপডেট। আপনি প্রেজেন্ট করুন যা আপনার কাস্টমার এর আসলে প্রয়োজন। একটি নির্দিষ্ট নিশ এ ফোকাস ক্রুন আপনার প্রোডাক্ট এর পোটেনশিয়াল কাস্টোমার দের টার্গেট করুন বা খুঁজে বের করুন। তারা কারা তারা কোথায় থাকে, এসব কিছু খুঁজে বের করুন। 
  • কল টু অ্যাকশনঃ সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট পোস্ট শেষ হয়ে একটি কল তো অ্যাকশন যোগ করার মাধ্যমে আপনি তাদের পরবর্তীতে কি পদক্ষেপ নিতে চান তার জন্য আপনার কাস্টমার এর রেসপন্স পেতে পারেন। সাধারণত বেশি ভাগ অডিয়েন্স আপনার কন্টেন্ট করার পর কোনই পদক্ষেপ নেবে না, এমন কি যদি তারা পছন্দ করে থাকে তাহলেও। কল টু অ্যাকশন বিভিন্ন টাইপ এর হতে পারে, যেমন- আপনি আপনার কাস্টমার কে উৎসাহ করতে পারেন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার কন্টেন টি কে ফলো লাইক শেয়ার করতে। অথবা কমেন্ট এর মাধ্যমে রিভিউ বা মতামত জানাতে, এমনকি আপনি তাদের গাইড করে আপনার ওয়েবসাইটে ড্রাইভ করাতে পারেন। 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি 

 সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং কি কেন করা হয় এবং এই মার্কেটিং প্রক্রিয়া করে কি লাভ হয়, এই সব ব্যাপারে অনেকের মনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আসলে সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং হল ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি ভাগ, আর এই ব্যাপারে আমি আপনাদেরকে বিস্তারিত ভাবে বলবো। তার আগে জানবো সোশ্যাল মিডিয়া বলতে কি বুঝায়, সেটা তো আপনি অবশ্যই জানেন।

আপনি প্রতিদিন কম্পিউটার বা মোবাইল ব্যবহার করা যেমন facebook, instagram, youtube এগুলো হল জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আমরা দেশ-বিদেশের চেনা অচেনা বিভিন্ন মানুষের সাথে ছবি, ভিডিও এবং কথার মাধ্যমে মনের ভাব শেয়ার করি। কিন্তু বর্তমানে এই সোশ্যাল মিডিয়া গুলো অনলাইন মার্কেটিং এর জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 প্রোডাক্ট, ব্র্যান্ড, সার্ভিস গুলো প্রোমোশন করার জন্য এই মাধ্যমগুলো অনেক বেশি পরিমাণে ব্যবহার করা হচ্ছে। অনলাইন মার্কেট হলো এমন একটি মার্কেট যার মাধ্যমে অনলাইন ইন্টারনেটে থাকা সকল সক্রিয় মানুষের কাছে পণ্য, বিসনেস সার্ভিস প্রচার বা মার্কেটিং করে তাদেরকে জানিয়ে দিতে পারি। বর্তমান ইন্টারনেটে সক্রিয় থাকা মানুষের মধ্যে অনেক বেশি পরিমাণন মানুষেরা এগুলো ব্যবহার করে। 
  • ফেসবুক মার্কেটিং কিভাবে করবেন? 
  • তার মার্কেটিং কিভাবে করবেন? 
  • ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং কিভাবে করবেন? 
  • ইউটিউব মার্কেটিং কিভাবে করবেন? 
এজন্য ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব সহ আরো বিভিন্ন রকমের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে ব্যবসা পণ্য প্রচার করা অনেক লাভজনক বলে প্রমাণিত হয়েছে। এতে ঘরে বসে মানুষরা আপনার ব্যবসা বা পণ্য দেখতে পায়। আর এই পুরোটাই হবে ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যম ব্যবহার করে।আপনি একটু সোশ্যাল মিটার প্ল্যাটফর্ম গুলোতে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন বর্তমানে পতিটা কোম্পানি বা ব্যান্ড এর সোশ্যাল মিডিয়াম রয়েছে। 

তারা ফেসবুক পেজ টুইটার পেজ ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে তাদের প্রোডাক্ট, সার্ভিস,ব্যবস্থা গুলো প্রমোট করছে ইন্টারনেট সক্রিয় থাকার লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে। মনে রাখবে, এই মাধ্যম গুলো ব্যবহার করে অনেক সহজে এবং কম সময়ে পণ্যের প্রচার বা মার্কেটিং করতে পারবেন। এখন, আপনার একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট হয়েছে বা আপনি একটি ব্যবসার মালিক যে নিজের প্রোডাক্ট এর প্রমোট বা মার্কেটিং করতে চান।

 সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে পেজ তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেট এর মাধ্যমে প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের মার্কেটিং করতে পারবেন এবং এতে আপনি অনেক সহজে কাস্টমার পেয়ে যাবেন। 

সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং করে আয় করার উপায় 

আজ আমরা জানাবো কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং করে আয় করা যায়। যেহেতু সোফার মিডিয়া বর্তমানে একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। আর সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এখন ব্যবসাতে আয়ের একটি অন্যতম মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে। এই মার্কেটিং কি পদ্ধতিতে ব্যবহার করে আয় করা হয়? মূলত বিভিন্ন ব্যান্ড প্রডাক্ট এবং সার্ভিস প্রমোট করে আয় করা হয়। মানুষ বর্তমানে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

যেমন ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম হোয়াটসঅ্যাপ লিংকডিন ইউটিউব ইত্যাদি ব্যবহার করে। আর যেহেতু অনেক মানুষ এই প্ল্যাটফর্ম এর সাথে জড়িত তাই এই সঠিক ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিররা এবং ব্যবসায়িরা আয় করতে পারবেন এবং নিজেদের প্রতিষ্ঠানগুলো্র পন্য প্রচার করতে পারবেন।সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয়ের প্রধান উপায় গুলোঃ 
  • স্পন্সরড কনটণ্টঃ স্পন্সরড কনটেন্ট এর সাথে চুক্তি করে তাদের পণ্য বা সেবা প্রমোট করা। কিন্তু এর জন্য আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার ভালো পরিমাণ ফলোয়ার থাকতে হবে। আমরা অনেকেই দেখে থাকি ইনফ্লইয়ানসার গুলো কেন প্রতিষ্ঠানের পণ্যের লাইফ বা পোষ্টের মাধ্যমে স্পন্সর করে থাকে। এটি কিন্তু আপনার বিপুল পরিমাণ আয় করার উৎস বটেই। 
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ আপনি যদি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম কোন একটি প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট এর লিংক শেয়ার করেন এবং সেই লিংক থেকে যদি কোন গ্রাহক পন্য ক্রয় করে থাকে তাহলে আপনাকে সেই প্রতিষ্ঠান থেকে কিছু পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয়। বর্তমানে এ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং টি অনেক জনপ্রিয় মাধ্যম। 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর গুরুত্ব  

বর্তমান সময়ে এমন কোন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর যিনি কিনা কোন না কোনভাবে সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং এর সাথে যুক্ত নয় সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে সাধারণ ব্যবহারকারীর সাথে সাথে বড় বড় কোম্পানির মালিক এবং বড় বড় ব্যবসায়ীরা সর্বদা একটিভ থাকেন সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং এর মাধ্যমে। প্রথমেই জানা প্রয়োজন সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং বলতে কি বুঝানো হয়।

 মূলত সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং এমন একটি মার্কেটং কৌশল যার মাধ্যমে সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কে নিয়মিত গ্রাহক বানিয়ে বিভিন্ন পণ্য বা সার্ভিস বাজারজাতকরণ করা হয়। যদি আপনি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে মার্কেটিং করতে চান তবে সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে বা মার্কেটিংয়ের এর ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

 এবং সেই সাথে কিছু জিনিস মেনে চলতে হবে যার ফলশ্রতিতে আপনার বিক্রি আরো বহু গুণে বেড়ে যাবে।কি কি কাজ করতে হবে? কি কি কাজ করা যাবে না? বর্তমান সময়ের মূলত প্রধান চারটি সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করা হয়ে থাকে সেগুলো হচ্ছে।
  • ফেসবুক 
  • হোয়াটসঅ্যাপ 
  • ইনস্টাগ্রাম 
  • ইউটিউব। 
আজকের আর্টিকেলে আমরা জেনে নিব কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং এ কি কি বিষয় অনুসরণ করলে বিক্রি বহু গুণে বেড়ে যাবে এবং সেই সাথে কি কি বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। প্রথমে জেনে নেওয়া যাক সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে কি কি কাজ প্রতিনিয়ত করতে হবেঃ 
  • নিয়মিত পোস্টঃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর জন্য নিয়মিত পোস্ট করার মাধ্যমে আপনি আপনার গ্রাহকদের সাথে খুব সহজে সংযুক্ত থাকতে পারেন। নিয়মিত পোস্ট করার মাধ্যমে যেই প্লাটফর্ম ব্যবহার করুন না কেন সেই প্ল্যাটফর্মে আপনার অনেক বেশি রিচ হবে। শুধু তাই নয় আপনি যে প্লাটফর্মে যুক্ত আছেন সেই প্ল্যাটফর্ম কর্তৃপক্ষ সবসময় মনিটর করবে যে আপনার পোস্টটি সমঞ্জস্যপূর্ণ হচ্ছে কিনা আর সেই সাথে ধারাবাহিক ভাবে পোস্ট করার ফলে ওই প্লাটফর্মে আপনার রিচ অনেকগুলো বেড়ে যাবে। শুধু পোস্ট করলেই হবে না সেই অস্থি হতে হবে আপনার পণ্য বা সার্ভিস সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, কোয়ালিটি ফুল এবং সেই সাথে সাথে সুন্দর ছবি বা ভিডিও দিতে হবে। এতে করে প্রতিনিয়ত গ্রাহকগণ আপনার প্রতি একটি আস্থা তৈরি করতে পারবে। সেই সাথে গ্রাহকগণ এটাও বুঝতে পারবে আপনি তাদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার জন্য যতটুকু উদারহস্ত। 
  • পোস্ট শেয়ার করাঃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে পোস্ট শেয়ার করা তবে এর মানে এই নয় যে সারাক্ষণ নিজের পোস্ট শেয়ার করা। পোস্ট শেয়ার করা এর অর্থ হচ্ছে অন্য আরো কোম্পানির ভালো ভালো পোস্ট শেয়ার করা অথবা কোন ব্যক্তির লেখা কোন ভালো কিছু শেয়ার করা। এতে করে আপনার গ্রাহকেরা আপনার প্রোফাইলে বা পেজে নিয়মিত আসতে আগ্রহী হবে এবং আপনি যাদের পোস্ট বা কনটেন্ট শেয়ার করছেন তারাও আগ্রহী হবে আপনার পোস্ট শেয়ার করার ক্ষেত্রে। 
  • নিয়মিত ভাইরাল পোস্ট করাঃ নিয়মিত ভাইরাল পোস্ট করা এর অর্থ হচ্ছে নিজের সার্ভিস বা অফারকে আরো আকর্ষণীয় করে গ্রাহকের কাছে লোভনীয় করে তোলা। যেমন মাসের শেষ শুক্রবার ৮০ পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট এর পণ্য বিক্রয় করা হবে। এই ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ফলে গ্রাহকগণ তাদের মাইন্ড সেটআপ করে নেবে যে এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতি মাসের ৩০ তারিখে বড় ধরনের ছাড় দিয়ে থাকে। এছাড়াও এই ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচারের উপর ভাইরাল বিজ্ঞাপন তৈরি করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ বিজ্ঞাপনের টাইটেল থাকবে শুক্রবার সারাদিন৮০ পারসেন্ট ছাড় নিন। এছাড়াও গ্রাহকদেরকে উৎসাহিত করা হবে। যারা এই সুযোগটি নিয়েছে তাদের পোস্ট থেকে বা তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে এই পোস্টটি বেশি বেশি শেয়ার করা। 
  • ইন্টারেকশনঃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ইন্টারেকশন অর্থ হচ্ছে গ্রাহকের সাথে সবসময় সংযুক্ত থাকা গ্রাহককে সমস্যা গ্রাহকের প্রশ্ন গ্রাহকের খোঁজখবর নেওয়া সহ সকল কিছু হচ্ছে ইন্টারেকশন। কাস্টমার ইন্টারেকশন যত বেশি হবে তত দ্রুত কাস্টমারকে তার প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাবে অথবা কাস্টমারের সাথে যতটুকু সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ ভাবে সেবা দেওয়া যাবে ততই আপনার পণ্য বিক্রি হবে। তাই নয় বরং আপনার পেজ বা ওয়েবসাইট অথবা আপনার চ্যানেলটি আরো বহু লোকের কাছে দ্রুত পৌঁছে যাবে সেই সাথে বিপুল পরিমাণে গ্রাহকের আস্থা অর্জন করা সম্ভব হবে বরং সবচাইতে ভালো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কৌশল হচ্ছে কাস্টমার ইন্টারেকশন।
.এবার জেনে নেওয়া যাক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে কি কি কাজ করা কখনোই যাবে নাঃ 
  • পোস্ট হুবহু কপি করাঃ সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং এ প্রথমে লক্ষ্য রাখতে হবে অন্যের কনটেন্ট বা পোস্ট হুবহু কপি করা। ইতিপূর্বে আমরা বলেছি অন্যের পোস্ট শেয়ার করার কথা কিন্তু এখানে কোন ভাবে অন্যের পোস্ট বা অন্যের কনটেন্ট এমনকি অন্যের আইডিয়া হুবহু কপি করা যাবে না বরং অন্যের পোস্ট থেকে আইডিয়া নিয়ে নিজের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ব্যবহার করে নতুন কোন কিছু যুক্ত করতে হবে। যেমন কারো ভালো কোন লেখা কপি না করে সেই লেখা থেকে কিছু ধারনা নিয়ে নিজ থেকে নিজের কিছু নতুন ধারণা যুক্ত করে নতুন একটি পোস্ট লেখা যেতে পারে। 
  • ফলোয়ারদের কে ইগনোর করা যাবে নাঃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর দ্বিতীয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ফলোয়ারদেরকে ইগনোর করা যাবে না ইগনোর কোন ফলোয়ার পোস্টে নেগেটিভ বা পজেটিভ যায় কিছু লিখুক না কেন বা মন্তব্য করুক না কেন কখনো একটা উপেক্ষা করা যাবে না পজেটিভ বা নেগেটিভ যে কোন প্রশ্ন সঠিক উত্তর দিতে হবে কোন সমস্যার ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে হবে যাতে কোন নেগেটিভ মন্তব্যের ক্ষেত্রেও গ্রাহক বুঝতে পারে আপনি কতটুকু আন্তরিক। 
  • শতভাগ স্বয়ংক্রিয় সেবাঃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর শত ভাগ সংক্রিয় সেবা দেওয়া যাবেনা বর্তমান সময় বড় বড় বক্স সাইডগুলোতে দেখা যায় সং ক্রিয়ভাবে গ্রাহক সেবা দিতে। একজন গ্রাহক তার সমস্যার ক্ষেত্রে সরাসরি একজন গ্রাহক প্রতিনিধির সাথে কথা বলতে অথবা সমস্যাটি শেয়ার করতে আগ্রহী হয়। কিন্তু সে ক্ষেত্রে যদি গ্রাহক সমস্যা সমাধান প্রথমে না পাই অথবা তাকে যদি সমাধান পেতে ভোগান্তি পেতে হয় সে ক্ষেত্রে আপনার চ্যানেল অথবা পেজ নেগেটিভ ইম্প্রেশন তৈরি করবে যার ফলে গ্রাহক সেবা গ্রাহিতা আপনার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। এ ধরনের ভুল সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং এর জন্য বা একই কারণে অনেক বড় বড় সাইট তাদের ব্যবসা সফলতা মুখ দেখতে পাচ্ছেন না যদিও তাদের ইন্টারেকশন অনেক বেশি কিন্তু নতুন গ্রাহক তাদের সাইডে অর্ডার করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে নাম এর প্রধান কারণ হচ্ছে সমাধান পেতে দীর্ঘসূত্রিতা। 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে  

তুমি যদি শুরু থেকে সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং শিখতে চান, তাহলে বেশ কিছু বিষয়ের ওপরে নির্ভর করছে কতদিন সময় লাগবে। সে ক্ষেত্রে ৬ মাস থেকে ২ বছর সময় লাগবে। যেমন এসইও শিখতে ৩ মাস থেকে ১ বছর সময় লাগতে পারে।কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ৩ থেকে ৬ মাসে অনলাইন কোর্স করেই ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। তবে বড় কোন কোম্পানিতে কাজ করতে সার্টিফিকেট, শিক্ষাগত যোগ্যতা বা ডিগ্রি প্রয়োজন পড়ে। তাই আপনি চাইলে কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪ বছর মেয়াদী ডিগ্রি নিতে পারেন। এটি করলে আপনি অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকবেন। 

লেখক এর মন্তব্য 

বন্ধু গণ আমরা আজকের এই আর্টিকেলে একদম শেষ পর্যায়ে এসে আশা ব্যক্ত করছি যে আপনারা অনলাইন মার্কেটিং কি এবং অনলাইন মার্কেটিং এর কৌশল সম্পর্কিত যে বিষয়বস্তু গুলো রয়েছে সে সম্পর্কে অবগত হতে পেরেছেন। পাশাপাশি কোন পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করে অনলাইন মার্কেটিং সাইট থেকে টাকা ইনকাম করা যাবে সেই সম্পর্কেও ধারণা পেয়েছে। এরপরেও যদি অনলাইন মার্কেটিং সম্পর্কে আপনাদের কোন মন্তব্য থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্স সেটি জানাতে ভুলবেন না।

প্রিয় পাঠক আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে যে বিষয়গুলো প্রয়োজন সে সম্পর্কে অনেক আর্টিকেল পাবলিশ করেছি। সুতরাং অনলাইন থেকে আপনার যদি ইনকাম করার আগ্রহ থাকে তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি অবশ্যই ভিজিট করবেন। আজকের এই পোস্ট আপনার বন্ধুদের মাঝে ছড়িয়ে দিন যেন তারাও অনলাইন মার্কেটিং সম্পর্কে অবগত হতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url