শীতে ও আপনার ত্বক পাবে সোনার জেল্লা! হলুদের সঙ্গে কি ব্যবহার করলে
আজকে আমরা আমাদের এই পোস্টে মধ্যে শীতে ও আপনার ত্বক পাবে সোনার জেল্লা এই বিষয়ে আলোচনা করব। এছাড়াও কাঁচা হলুদ রূপচর্চায় কিভাবে ব্যবহার করতে হয়। কাঁচা হলুদ দিয়ে কিভাবে ফেসপ্যাক তৈরি করতে হয় সে বিষয়ে আলোচনা করব। আপনি যদি আপনার রূপচর্চা বিষয় নিয়ে চিন্তিত থাকেন তবে এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে।এর মধ্যে অনেকগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে এ পোষ্টটির মধ্যে অনেক কিছু আলোচনা করা হবে।
যেমন কাঁচা হলুদ দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করা, কাঁচা হলুদ মুখে দেওয়া নিয়ম, কাঁচা হলুদের উপকারিতা, আরো অনেক কিছু আলোচনা করা হবে। এসব ব্যবহারের নিয়ম জানলে শীতে ও আপনার ত্বক পাবে সোনার জেল্লা। আপনি যদি রূপচর্চা করতে চান এবং শীতে শুষ্কতা থেকে বাঁচতে চান অবশ্যই পোস্টে মনোযোগ সহকারে পুরোটা পড়বেন অবশ্যই উপকৃত হবেন।
রোদে পোড়া ত্বকের যত্নে হলুদের ব্যবহার
বাইরে বের হলেই মাথার ওপর কড়া রোদ। আর এ কড়া রোদে সারাদিন কাজ করলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বক রোদে পুড়ে যায়। তাই ত্বকের লাবণ্য ফেরানোর পাশাপাশি রোদে পোড়া ভাব দূর করতে হলুদের জুড়ি মেলা ভার। হলুদ দিয়ে তৈরি হয় সাবান,যা প্রসাধনী হিসেবে বেশ কার্যকর। প্রাচীনকাল থেকেই ত্বকের যত্নে ও নানা রোগের ঔষধ হিসেবে হলুদ ব্যবহার হয়ে আসছে।
নানা আয়ুর্বেদিক গুন থাকার কারনে আমরা কাঁচা হ্লুদ, শুকনো হলুদ গুড়ো বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করি দৈনন্দিন জীবনে। রোদে পোড়া ত্বকের জন্য হলুদ খুবই উপকারী। তাই অবশ্যই শীতে ও আপনার ত্বক পাবে সোনার জেল্লা। ত্বকের ধরেন অনুযায়ী হ্লুদের ব্যবহার একটু ভিন্নভাবে করতে হয়। যেমনঃ
জেনে নিন ঘরোয়া উপায়গুলো
- তৈলাক্ত ত্বকঃ এ ক্ষেত্রে ও একইভাবে হলুদের রস ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর মুলতানি মাটি নিয়ে হ্লুদের রসে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে। তার সঙ্গে এক চামচ পুদিনা পাতা ও এক চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে হাত ও মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
- ২ শুষ্ক ত্বকঃ শুষ্ক ত্বকের জন্য প্রথমে হ্লুদের রসটাকে বের করে নিতে হবে। তারপর সেটা ২ থেকে ৩ মিনিট চুলায় ফুটিয়ে নিতে হবে। এর সঙ্গে বেসন ও ডিমের কুসুম মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে ধিয়ে ফেললে রোদে পোড়া দাগ দূর হয়ে যায়।
- ৩ মিশ্র ত্বকঃ মিশ্র ত্বকের যত্নটা একটু ভিন্নভাবে নিতে হয়। কারণ এ ধরনের ত্বক একটু বেশি স্পর্শকাতর হয়। সে জন্য আগের মতোই হলুদের রস নিয়ে তার মধ্যে দেশী সবুজ মুগডাল ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর একে পেস্ট করে তুলসী পাতার রস ও কেওলিন পাওডার মিশিয়ে মুখ ও হাত-পায়ে লাগাতে পারেন। এতে যেমন ত্বকের কালচে ভাব দূর হবে, তেমনি হয়ে উঠবে প্রাণবন্ত। আর সব ধরনের ত্বকেই হলুদের রসের সঙ্গে ব্রাউন সুগার নিয়ে স্ত্রাবিং করতে পারেন। এতে ব্ল্যাকহেডস দূর হয়।
- ৪ কখন ব্যবহারে বেশি উপকারঃ হলুদ সবসময় রাতে ব্যবহার করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হলুদের যেকোনো প্যাক লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে একটা ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিলে ত্বকের সাজীবতা বাড়ে। আর হ্লুদের রস বা গুড়ো দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ও ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল ও মসৃণ হয়।
- ৫ প্রতিদিন নয়ঃ ত্বকের যত্নে প্রতিদিন না করে সপ্তাহে একদিন বা দুইদিন হলুদ ব্যবহার করুন। প্রতিদিন হলুদের স্ক্রাব ব্যবহার করলে ত্বকের ভেতর আঁচড় কেটে যায়। স্বাভাবিকের তুলনায় তাড়াতাড়ি বলিরেখা সৃষ্টি হয়। হলুদ মুখে লাগানোর পর বাইরে যাবেন না। কারণ হলুদ ব্যবহারের পরপরই রোদে গেলে ত্বক জ্বলে যায়, তাতে জ্বালাপোড়াসহ বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। সম্ভব হলে রাতে হলুদ ব্যবহার করুন।
হলুদ খেলে কি ত্বক ফর্সা হয়?
হলুদ খেলে ত্বকের রং ফর্সা হয় এমন একটি ধারণা অনেকের মধ্যে রয়েছে। তাই অনেকে কাঁচা বা গুঁড়া হলুদ খান। আসলে কি তাই? এ বিষয়ে কথা হয় গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাবাসসুম আজিজের সঙ্গে। তিনি বলেন, হলুদের সঙ্গে ত্বক ফর্সা হওয়ার একটি বিষয় রয়েছে। হলুদের মধ্যে রয়েছে একটি বিশেষ উপাদান কারকিউমিন। এটি কেবল হলুদেই পাওয়া যায়। এটিকে জাদুকরি উপাদান বলা হয়।
এটি ত্বকের অধিকাংশ সমস্যা সমাধান করতে পারে। তাবাসসুম আজিজ আরো বলেন, কারকিউমিনের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিবায়োটিক গুণ। এটি রং ফর্সা করে, ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে, ব্রন প্রতিরোধ করে, বার্ধক্যের ছাপ প্রতিরোধ করে। কারকিউমিন ত্বককে পাতলা করতে কাজ করে। ব্যাকটেরিয়া দূর করে; হোয়াইট হেড, ব্ল্যাক হেড দূর করে।
ভেতর থেকে উজ্জ্বলতা বাড়ায়। হলুদ ত্বকের বাইরে থেকে মাখলে যে উপকার পাওয়া যায়, খেলেও প্রায় একই রকম উপকার পাওয়া যায়। হলুদ খেলে শরীরের ভেতর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর হয়। হলুদ খেলে ত্বক ফর্সা হয়। কিভাবে খাবেন তা জেনে নিন।যেমনঃ
- এক ইঞ্চি সমান কাঁচা হলুদ দুধের মধ্যে নিয়ে ১৫ মিনিট ফুটাতে হবে। এরপর হলুদটি তুলে ফেলে কেবল দুধ পান করতে হবে। ননিহীন দুধ হলে ভালো হয়।
- দুই কাপ দুধে আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়া মেশান। এর পর গরম করুন। ঠান্ডা হওয়ার পর পান করুন। ৩ দুধ ঠান্ডা হওয়ার পর পান করবেন। নয়তো হজমে সমস্যা হতে পারে।
- আর যাদের হজমে সমস্যা আছে, তাদের খাওয়ার বিষয়ে সাবধান হতে হবে।
- যদি কোন সমস্যা না হয়, সব সময় খেতে পারেন।
কিভাবে আপনি ত্বকে কাঁচা হলুদ ব্যবহার করবেন
আমরা ত্বকের যত্নের উপকারিতাগুলি অনুসন্ধান করাআগে, আসুন জেনে নেওয়া যাক কাঁচা হলুদ কি।কাঁচা হলুদ, যা কারকুমা লংগা নামেও পরিচিত, দক্ষিণ এশিয়ার একটি বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। এর রাইজোমগুলি সাধারণত রান্না এবংত্বকের যত্নে ব্যবহৃত হয় সোনালী- হলুদ পাউডার তৈরি করতে মাটিতে তৈরি হয়। কে হলুদ কে অনেক সময় মিরাকল হাব বা আলৌকিক ভেষজ বলা হয়ে থাকে।
প্রচুরপরিমাণ ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি-৬ ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন সি থাকে ও কারকিউমিন নামক রাসায়নিক থাকে যা বিভিন্ন রোগের হাত থেকে আমাদের বাঁচায়। যুগ যুগ ধরে এই কাঁচা হলুদ ত্বককে প্রাণবন্ত করতে ব্যবহার করা হয় তাই এই শীতে ও আপনার ত্বক পাবে সোনার জেল্লা। হলুদের সঙ্গে কি ব্যবহার করবেন। কাঁচা হলুদের ফেসপ্যাক ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ
- কাঁচা হলুদ, মধু এবং দুধঃ ১/৪ চা চামচ হলুদের গুড়ো, এবং এক চা চামচ কাঁচা দুধ মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি ব্যবহারের আগে ত্বক পরিষ্কার করে নিন। কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এরপর হলুদের প্যাকটি মুখ এবং ঘাড়ে সমানভাবে প্রয়োগ করুন। ১০-১৫ মিনিট মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতি সপ্তাহে একবার প্যাকটি ব্যবহার করুন।
- কাঁচা হলুদ, টকদই প্যাকঃ ১ টেবিল চামচ কাঁচা হলুদের গুড়া, সাথে ২ টেবিল চামচ টকদই মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। চোখের এলাকা এড়িয়ে আপনার মুখ এবং ঘাড়ে সমানভাবে মাস্কটি প্রয়োগ করুন। হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলার আগে এটি ১৫- ২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। সেরা ফলাফলের জন্য সপ্তাহে দুই তিনবার এই মাস্কটি ব্যবহার করুন।
- কাঁচা হলুদ, লেবুর রস এবং মধুঃ ১/৪ চা চামচ হলুদের গুড়ো, ১ টেবিল চামচ মধু এবং ১/২ চা চামচ লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মধু প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। শুধু তাই নয় মধু ব্রণ হওয়ার প্রবণতা রোধ করে। এই প্যাকটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারে এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে।
- স্লিপিং জেল অ্যালোভেরা মাস্কঃ অর্গানিক অ্যালোভেরা জেল ৪ টেবিল চামচ/ কাঁচা হলুদ ১/২ চা চামচ/ জাফরান তেল ৪ ড্রপ / অ্যালোভেরা জেল একটি পাত্র নিয়ে তার সাথে বাকি উপাদান গুলো দিয়ে খুব ভালো ভাবে মিক্স করে একটি জারে নিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। রাতে ঘুমের আগে দিতে পারেন।
- বেসন, গোলাপজল মাস্কঃ প্রাকৃতিক এক্সফলিয়েট হিসেবে কাজ করে। ১ টেবিল চামচ হলুদ গুড়ো, ২ টেবিল চামচ বেসন, ১ থেকে ২ টেবিল চামচ গোলাপ জল একসাথে মিশিয়ে নিন। ব্যবহারের আগে মুখটি পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। মুখ শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে এটি ত্বকের ব্রণ হওয়ার প্রবণতা হ্রাস করে।
রূপচর্চায় দুধ ও কাঁচা দুধের ব্যবহার
রূপচর্চা ব্যবহার করতে পারেন কাঁচা হলুদের সঙ্গে দুধ কারণ হলুদে রয়েছে অ্যান্টিইন ফ্লেমেটরি সহ অনেক ওষুধ গুন রয়েছে। তাই কাঁচা হলুদের সাথে কাঁচা দুধ একত্রে মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করতে পারেন। এবং পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এতে করে ত্বক উজ্জ্বল দেখাবে এবং ব্রণের সমস্যা থাকলে তা দূর করবে।
দুধ সুষম খাদ্য বলে গণ্য করা যায় দুধেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন এবং ল্যাকটিন অ্যাসিড যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। তাই এই শীতে ও আপনার ত্বক পাবে সোনার জেল্লা হলুদের সঙ্গে কি ব্যবহার করবেন তা অবশ্যই জানতে পেরেছেন। ত্বকের অনেক উপকার পাওয়া যায় তাই রূপচর্চায় দুধ ও কাঁচা হলুদ ব্যবহার করতে পারেন।
কাঁচা হলুদের ফেসপ্যাক ব্যবহার
যে কোনো উৎসব-পার্বণ হলুদ ছাড়া অসম্পূর্ণ থেকে যায়। রূপচর্চার দুনিয়াতেও চিরকাল হলুদ রাজত্ব করে এসেছে। মুখের নিষ্প্রাণ বিবর্ণভাব কাটিয়ে সতেজ উজ্জ্বলতা এনে দিতে, মুখের কালো দাগছোপ হালকা করতে, ব্রণ-ফুসকুড়ি নির্মূল করার কাজে বা মুখের যে কোনো প্রদাহ কমাতে হলুদের ব্যবহার প্রাচীন কাল থেকে। তবে শুধু কাঁচা হলুদ মুখে মাখলে ত্বক ভীষণ হলদে দেখায়, তাই তার সঙ্গে যদি মিশাতে পারেন বেসন বা চন্দন,তা হলে ফেসপ্যাকের কার্যকারিতা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
তেলতেলেভাব কাঁটিয়ে আর ত্বকের আদ্রতা বাড়িয়ে তুলে ত্বক কোমল, উজ্জ্বল রাখতে তাই বেছে নেয়া যেতেই পারে। হলুদ দিয়ে তৈরি কয়েকটি দুর্দান্ত ফেসপ্যাক যা ব্যবহারে পাবেন এই শীতে ও আপনার ত্বক পাবে সোনার জেল্লা হলুদরে সঙ্গে কি ব্যবহার করবেন তা যেনে নিন। ব্রণ কমাতে- ব্রণের সমস্যা কম বেশি অনেকেরই হয়। বিশেষ করে গরমে এই সমস্যা প্রকোপ দেখা যায় বেশি।
- ২ টেবিল চামচ পরিমাণ কাঁচা হলুদ বাটা, ১ টেবিল চামচ পরিমাণ বেসন অথবা চালের গুঁড়ো, ২ টেবিল চামচ টক দই বা দুধ (তেলতেলে ত্বকের ক্ষেত্রে) অথবা অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল বা আমন্ড অয়েল (শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে) ও ১ টেবিল চামচ মধু। সমস্ত উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করতে হবে। মুখে সমান করে মেখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখতে হবে। এরপর ক্ষার বিহীন ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। মুখ ধোওয়ার পর প্রথমে টোনার আর সব শেষে ময়শ্চারাইজ়ার অবশ্যই লাগাতে হবে।
- ত্বকের প্রদাহ কমাতে হলুদ- যাদের ত্বক স্পর্শকাতর তাদের একটুতেই মুখে জ্বালা করে, ত্বক লালচে হয়ে যায়। হলুদের প্যাক প্রদাহ কমিয়ে ত্বক শীতল রাখতে সাহায্য করে। ১ চা চামচ পরিমাণ হলুদ বাটার সঙ্গে আধ চা চামচ পরিমাণ অ্যালোভেরা জেল ও ১ চা চামচ গোলাপজল মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটা ঘন হবে না, বরং বেশ তরলই থাকবে। মুখে আলতো করে লাগিয়ে নিতে হবে। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্যাকটি লাগালে মুখে সামান্য হলদেটে ভাব আসতে পারে। তা না চাইলে মিশ্রণটিতে কয়েকফোঁটা অলিভ বা নারকেল তেল মিশিয়ে নিতে পারেন।
- ত্বক কোমল ও উজ্জ্বল রাখতে হলুদ- মুখ খুব নিষ্প্রাণ, ক্লান্ত দেখাচ্ছে? হাতের কাছে হলুদ আর ময়দা থাকলেই সমস্যার সমাধান। ২ টেবিল চামচ ময়দা, ১ চা চামচ হলুদ বাটা, ১ টেবিল চামচ আমন্ড অয়েল ও ৩ টেবিল চামচ দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে ক্রিমের মতো মসৃণ পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। মুখে লাগিয়ে মিনিট ১৫ রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
কাঁচা হলুদের ভালো ও খারাপ দিক
প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে, হলুদ হলো একটি মহৌষধি। ক্যান্সারের মতো প্রাণঘাতী রোগ দূর করতে কাজ করে হলুদ। প্রতিদিন সকালে এক টুকরো কাচা হলুদ খাওয়ার ফলে ছোট বড় অসুখের আশঙ্কা কমবে। তবে কার ও জন্য উপকারী এই হলুদ বিপদের হাতছানিও হতে পারি।
জেনে নেওয়া যাক হলুদের উপকারিতা সম্পর্কে
- প্রদাহের মতো জটিল সমস্যার বিরুদ্ধে প্রথমেই ব্যবস্থা না নিলে পরবর্তী সময়ে তা ভয়ানক হতে সময় লাগবে না। এমনকি এ কারণে শরীরের বাসা বাঁধতে পারে একাধিক ক্রনিক রোগ। তাই চিকিৎসকেরা প্রশমিত করতে কাঁচা হলুদ ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
- ইদানিং দেখা যাচ্ছে, হার্টের জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন ছোট-বড় অনেকেই। তাই চিকিৎসকেরা সবাইকে হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। আপনার হাতের কাছে উপস্থিত এক টুকরো কাঁচা হলুদ হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে।
- ক্যান্সারের মতো প্রাণঘাতী একটি রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে কাঁচা হলুদ কাঁচা হলুদ এমন কিছু আন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ক্যান্সারের সেলের বৃদ্ধি আটকে দিতে পারে। তাই এই মরণরোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচতে কাঁচা হলুদ খাওয়ার অভ্যাস করুন।
- আলঝেইমার একটি জটিল অসুখ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। এই জটিল অসুখ প্রতিরোধের কাজেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কাঁচা হলুদ। তাই প্রতিদিন কাঁচা হলুদ খাওয়ার অভ্যাস করুন।
- কাঁচা হলুদের মধ্যে কারকিউমিন নামক একটি উপাদান করেছে যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বর্দ্ধন করে এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
- কাঁচা হলুদ অস্থির স্বাস্থ্য উন্নতি করতে সাহায্য করতে পা্রে, যা শারীরিক দুর্বলতা এবং সম্প্রেষণ বুদ্ধি করতে সাহায্য করে।
- কাঁচা হলুদ বিদ্যামান অ্যান্টি ওবেসিটি গুন যা শরীরের বাড়তি মেদ জমতে দেয় না এবং মেটালিজমের হার বাড়ায়। ফলে কাঁচা হলুদ শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে একটি কার্যকরী উপায়।
- লিভার আমাদের দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। হলুদে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান, যা যেকোন ধরনের লিভারের চিকিৎসা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- হলুদ সর্দি কাশি দূর করতে সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন সি সর্দি কাশির মতো সমস্যা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- সানবার্ন, দাগ, রিংকেল থেকে মুক্তি পাওয়ার অন্যতম উপাদান হলো এই হলুদ। এতে রয়েছে আন্টিঅক্সিডেন্ট যা বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরার সাথে কাঁচা হলুদ মিক্স করে ব্যবহার করলে মুখের উজ্জলতা বৃদ্ধি পায়।
উপকারী এই উপাদানে রয়েছে কিছু অপকারিতা, জেনে নিন সেগুলো
- অতিরিক্ত হলুদ শরীর থেকে আয়রন শোষণ করে নেয়। তখন রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায়। ফলে শরীরে আয়রে ঘাটতি দেখা দেয়।
- হলুদে কারকিউমিন থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই ভালো এবং স্বাস্থ্যর দিক থেকেও উপকারী। কিন্তু বেশি হলুদ খেলে অ্যানিমিয়া হয়। তবে শুধুই যে অ্যানিমিয়া হবে তা নয়।
- তাছাড়া কিডনি স্টোন, রক্তপাতে সমস্যা হতে পারে।
- হলুদ দেহে আয়রন ভারসাম্যের জন্য দায়ী হেপসিডিন, পেপটাইডস সংশ্লেষণকেও বাধা দিতে পারে। এই সব কারণগুলি একসঙ্গে আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয় এবং হজমে সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত হলুদ খেলে মাথা ধরা, ত্বকের সমস্যা এসব লেগেই থাকে। এছাড়াও আলসার, লিভার বড় হয়ে যাওয়া, প্রদাহ এসবও হতে পারে।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আজকে আমরা রূপচর্চায় বিষয় নিয়ে কিছু আলোচনা করব। শীতে সবার ত্বক খুব শুষ্ক হয়ে থাকে তাই এই শুতে ও আপনার ত্বক পাবে সোনার জেল্লা হলুদের সঙ্গে কি ব্যবহার করলে ত্বক ভালো থাকবে। এই সম্পর্কে আলোচনা করব আমার পোস্টটি যদি আপনাদের রুপচর্চা নিয়ে চিন্তিত থাকেন তাহলে অবশ্যই আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
আশা করছি অবশ্যই উপকিত হবেন আজকের লেখা আর্টিকেলটি যদি আপনার এতটুকু ভালো লেগে থাকে তবে আর ও নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। এবং আপনাদের যদি কোন মন্তব্য থাকে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url