প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত

প্রিয় বন্ধুরা আপনার নিশ্চয়ই প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে জানতেই আজকের পোস্টটি লিখেছি। তবে চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই আজকের পোস্টটিতে আমরা আপনাদের জন্য কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়মসহ, প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। 

আপনারা যদি কাঠবাদাম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান। তাহলে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে যেতে থাকুন তাহলে আপনারা কাঠ বাদাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম  

আপনারা এর মধ্যে কাঠবাদাম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন। আপনারা যারা কাঠ বাদাম খেতে পছন্দ করেন যদি এর থেকে অধিক পরিমাণ পুষ্টি পেতে চান তাহলে অবশ্যই কাঠবাদাম সঠিক পরিমাণ এবং সঠিক নিয়মে খেতে হবে।কাঠবাদামে থাকে অ্যামাইনো এসিড,ফলিক এসিড, ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, জিংক, সেলেনিয়াম, কপার, আয়রইয়, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন ই রয়েছে। এত সব গুন হয়েছে তাই ইচ্ছামতো কাঠবাদাম খাওয়া যাবে না। এটি আমাদের শরীরের জন্য বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে বিশেষ করে এটি আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে। আমাদের জানামতে কাঠবাদাম সাধারণত প্রতিদিন ২৮ গ্রাম বা ৮টি কাঠবাদাম খাওয়া উত্তম। শরীরের চাহিদা অনুযায়ী আপনি সর্বোচ্চ এক মুঠো কাঠ বাদাম খেতে পারেন। কাঠবাদাম খাওয়া নিয়ম রয়েছে কাঠবাদম খাওয়ার নিয়ম মেনে কাঠবাদম খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি বিভিন্ন রান্নার সাথে খেতে পারেন। তবে আপনারা সেমাই, ক্ষীর, পায়েস ইত্যাদির সাথে খেতে পারেন। তাহলে চলুন প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত তার নিয়ম জেনে নেওয়া যাক। 
  • কাঠবাদাম ভিজিয়ে খাওয়াঃ সারারাত পানিতে কাঠবাদাম ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেলে কাঠবাদামের সর্বোচ্চ পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। কারণ পানিতে ভিজিয়ে রাখার সহজেই কাঠবাদামের পুষ্টিগুণ শোষণ করতে সক্ষম হয়। 
  • শুকনো কাঠবাদাম খাওয়াঃ শুকনো কাঠবাদাম খাওয়া যেতে পারে তবে এই ক্ষেত্রে ভিজিয়ে রাখা বাদমের চেয়ে চেয়ে কিছুটা কম হবে। 
  • কোন কিছুর সাথে মিশিয়ে কাঠবাদাম খাওয়াঃ কাঠ বাদাম সালাদের সাথে মিশিয়ে স্যুপ এর সাথে মিশিয়ে বা ড্রাই ফুডসের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়। চাইলে কাঠবাদামের পোস্ট তৈরি করে বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহার করা যায়। উপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে আপনি কাঠবাদাম খেতে পারবেন। 

সকালে খালি পেটে কাঠ বাদাম খাওয়ার উপকারিতা  

আমরা সবাই জানি কাঠবাদাম একটি খুবই জনপ্রিয় বাদাম। আমরা সকলেই এই বাদামের সাথে কোন না কোন ভাবে পরিচিত। কাঠবাদাম অনেক মানুষই পছন্দ করে থাকেন। ওজন কমাতে সাহায্য করে কাঠ বাদাম। প্রতিদিন কয়টা কাঠ বাদাম খাওয়া উচিত যা আমাদের শরীরের ফোলাভাব কমায় এবং যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে। বিশ্বাস হচ্ছে না? সত্যি বলছি, কাঠ বাদামের অনেক উপকারীতা রয়েছে। ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের ভরপুর কাঠবাদাম রান্না করে খেলেও উপকার।

 ক্ষীর বা পায়েসের উপর গার্নিশ করে ও খাওয়া যায়। উত্তর ভারতের খাদ্য তালিকায় বাদামি কড়মা বলে একটি পদ খুব জনপ্রিয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সে পদটি কাঠ বাদাম দিয়ে তৈরি হয়। চিকিৎসকেরা বলেন, এক বাটি পানিতে কাঠবাদামকে সারা রাত ভিজিয়ে রাখলে উপরের বাদামি খোসাটি খুব সহজে বেড়িয়ে আসে। খোসা বেরিয়ে আসার পর সাদা বাদামটিকে এক সপ্তাহ রেখে খেতে পারবেন।
প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত

 খোসা ছাড়ানো অবস্থায় খেলে কাঠবাদাম অনেক বেশি কার্যকর হয়ে ওঠে। কাঠ বাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই রয়েছে। অনেকে আবার কাঠবাদামের তেল ব্যবহার করে থাকেন। কাঠবাদামের তেল ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।

কাঠ বাদামের কিছু উপকারিতা সংক্ষেপে  

  • ভেজানো কাঠবাদাম হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
  •  ভেজানো কাঠবাদাম হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। 
  • কাঠবাদাম ওজন কমাতে অনেক ভূমিকা পালন করে। এতে উপস্থিত মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট খিদে কমায় এবং দীর্ঘক্ষণ ধরে পেট ভরিয়ে রাখে। 
  • কাঠ বাদাম হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে সাহায্য করে। এবং ক্ষতিকারক কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণ করে।
  • কাঠবাদাম ক্যান্সার প্রতিরোধে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 
  • কাঠবাদামে থাকা আন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ফোলা ভাব কমায় এবং অকালপক্কতা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। 
  • বাদামে উপস্থিত শরীরে টিউমার প্রতিরোধের সহায়তা করে।
  •  কাঠ বাদামের তেল খুবই উপকারী এটি ত্বক এবং চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। 

গর্ভাবস্থায় কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম  

গর্ভাবস্থায় মহিলাদের প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত সে ব্যাপারে তাদের যত্নশীল হওয়া উচিত। কারণ এই সময়ে তাদের শরীর দুর্বল থাকে এবং গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মহিলাদের সুষম খাবার খেতে হয়। এমন একটি খাদ্য তালিকা মেনে চলতে হয় যা তার এবং তার গর্ভে থাকা ভ্রূণের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে সক্ষম। 
এই খাদ্য তালুকায় কাঠবাদাম অনায়াসে জায়গা করে নিতে পারে। কারণ কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, ফাইবার, প্রোটিন, ক্যালরি, গর্ভাবস্থায় কাঠবাদাম খেলে মা ও শিশু উভয়েরই উপকার হয়। চলুন গর্ভাবস্থায় কাঠবাদাম খাওয়ার উপকারিতা জেনে নেওয়া যাক। 
  • কাঠবাদাম ভিটামিন ই সমৃদ্ধঃ কাঠবাদামে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ হওয়ায় গর্ভাবস্থায় কাঠবাদাম খাওয়ার উপকারিতা অনেক। ভিটামিন এ গর্ভবতী মায়ের ত্বক উজ্জ্বল করে। গর্ভে থাকা শিশুর সুন্দর ত্বক এবং চুল গঠনে সহায়তা করে। 
  • কাঠবাদাম প্রোটিন সমৃদ্ধঃ কাঠবাদাম প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়া গর্ভাবস্থায় কাঠবাদাম খেলে মা এবং গর্ভে থাকা শিশুর প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়।
  • কাঠবাদামে রয়েছে ফাইবার ও রাইবোফ্ল্যাভিন ফাইবার এবং রাইবোফ্ল্যাভিন হজম প্রক্রিয়ার সমস্যা সমাধান করে। এই উপাদান গুলো কাঠ বাদামে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। তাই কাঠ বাদাম খেলে গর্ভাবস্থায় পেটের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। 

কোন বাদাম খেলে ওজন বাড়ে 

বাদাম খেলে কি ওজন বাড়ে? না।কি গোটা ধারানাটাই ভুয়ো? এ বিষয়ে নিজের মতামত জানালেন বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদ।আশা করছি, এরপর আপনার মনের সব জিজ্ঞাসা দূর হবে। বাদাম একটি পুষ্টিকর শস্যদানা। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন বি সিক্স, ক্যালসিয়া, ম্যাগনেসিয়ামসহ একাধিক জরুরি ভিটামিন ও খনিজ। বাদামে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকায় অনেকেই মনে করেন বাদাম খেলে বুঝি ওজন বাড়ে।

 তাই প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত এর সত্যিটা জেনে নিন। সুন্দর মেদহীন শরীর পেতে কে না চায়? তবে বর্তমানে ব্যস্ততায় ফাস্ট ফুড বা বাইরে খাবারের উপর ভরসা করে যাদের দিনের বেশিরভাগ সময় কাটাতে হয়, তাদের কাছে সুন্দর মেদহীন শরীর পাওয়াটা একটা স্বপ্নের মতো বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হল এই ধারণার পেছনে কি আদৌ কোন বিজ্ঞানভিত্তিক রয়েছে?

 নাকি পুরো বিষয়টা জনশ্রুতি? পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে বাদাম খেলে ওজন বাড়ে না। তবে যাদের ওজন বেশি, তাদের বাদাম বুঝে শুনে খেতে হবে। ব্যস্ত জীবনযাত্রায় বাদাম থাকতে পারে আপনার পছন্দের তালিকায়। শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে আমরা কত কিছুই না করি। দ্রুত ওজন কমাতে ডায়েটে রাখুন এই ৫ রকমের বাদাম। 

সেই সঙ্গে বাদাম পুষ্টির ঘাটতি দূর করে, মস্তিষ্ক ভালো রাখে হাড় ভালো রাখে আরো অনেক কিছু ভালো রাখে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন বাদাম ওজন কমাতে কিভাবে সাহায্য করে। 
  • চীনাবাদামঃ ক্ষুধা পেলে এক মুঠো চীনা বাদাম খেয়ে নিতে পারেন। এতে শরীর তার প্রয়োজনীয় পুষ্টিও পাবে, ক্ষুধা কমবে। 
  • কাজু বাদামঃ কাজু বাদামে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কম থাকলেও এতে কপার, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস প্রচুর পরিমাণে থাকে। তাই ওজন কমাতে কাজু বাদাম খান। 
  • আমন্ডঃ আমন্ড রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট যা আপনার খাওয়ার ইচ্ছা বা ক্ষুধার বোধ কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। ওজন কমাতে তালিকায় রাখুন আমন্ড। 

কাঠবাদাম কতটুকু খাবেন ভিজিয়ে নাকি শুকনা  

স্বাস্থ্যকর খাবার হিসাবে বাদামের জুরি নেই। শিশুদের মস্তিষ্ক গঠনেেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে কাঠ বাদাম। সুস্বাস্থ্যের জন্য অনেকেই খাদ্য তালিকায় রাখে কাঠবাদাম। এমনকি ওজন কমাতে গেলেও কাঠবাদাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ এতে থাকা ভালো ফ্যাট ও অন্যান্য পুষ্টিগুণ শরীরের পক্ষে উপকারী। তবে অনেকেই সঠিকভাবে খেতে না জানতে পারেন। স্বাস্থ্যকর বলে অনেকেই আবার অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন। এতে হিতে বিপরীত হতে পার।

 কাঠবাদামে রয়েছে ব্যাপক পুষ্টিগুন। কিন্তু সেটা যদি পানিতে ভিজিয়ে নিয়মমাফিক খাওয়া যায় তাহলে এর পুষ্টিগুণ আরো বেড়ে যায়। এজন্য পুষ্টিবিদ স্বাস্থ্য সচেতনদের প্রায় সবাই বাদাম ভিজিয়ে খেতে বলে থাকেন। তবে বাদাম শুধু ভিজালেই হবে না। এর পুষ্টিগুণ বাড়িয়ে তুলতে চাইলে আরো কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন। প্রতিদিন কয়টা কাঠ বাদাম খাওয়া উচিত এই বিষয়ে পুষ্টিবিদেরা বলেছেন, বাদামের মধ্যে যে ধরনের উৎসেচক রয়েছে সেগুলো সক্রিয় করতে ভিজিয়ে রাখা জরুরি।

 বাদামের খোসায় রয়েছে ফ্যাটিক অ্যাসিড, সেই অ্যাসিডকে ভাঙতে সাহায্য করে ওই উৎসেচকগুলো। আয়রন, জিঙ্ক, ক্যালশিয়ামের মতো খনিজগুলো শোষণে সহায়তা করে। তাছাড়া যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে, তাদেরও বাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
  • বাদাম ভেজানোর সঠিক পদ্ধতিঃবাদাম প্রথমে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এবার ছোট একটি পাত্রে ফিল্টারের পানি নিন। তার মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন বাদাম। পাত্রের মুখে ঢাকা দিতে ভুলবেন না। অনেকেই বাদামের খোসা খেতে পছন্দ করেন না। তবে ভেজানোর আগে বাদামের খোসা ছাড়ানোর প্রয়োজন নেই।
  •  ২ ভিজিয়ে রাখবে যতক্ষণঃ কাঠবাদামের পুষ্টিগুণ বাড়িয়ে তুলতে চাইলে অবশ্যই তা ভিজিয়ে রাখতে হবে। সঠিক পদ্ধতিতে এবং সঠিক সময় ধরে বাদাম ভিজিয়ে রাখলে তবেই উপকার, নচেৎ নয়! অন্তত ৮ থেকে ১২ ঘন্টা পর্যন্ত কাঠ বাদাম ভিজিয়ে রাখতে হবে।
  • কতগুলো বাদামের সঙ্গে কতটা পানি দিতে হবেঃ কাঠবাদামের পুষ্টিগুণ বাড়িয়ে তুলতে গেলে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয় তা সবাই জানেন। কিন্তু কাঠ বাদামের পরিমানের সঙ্গে কতটুকু পানি দেওয়া প্রয়োজন তা জানেন কি? বাদামের স্বাদ এবং পুষ্টিগুণ বাড়িয়ে তুলতে বাদাম এবং পানির অনুপাত হওয়া উচিত ২:১। এক কাপ পানি যেমন তিনটি কাঠবাদাম ভাজাবেন না, তেমনই এক মুঠো কাঠবাদামের ভেজানোর জন্য এক টেবিল চামচ পানি দিলেও কিন্তু চলবে না। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, অনুপাত সম্বন্ধে এত জ্ঞান না থাকলে শুধু খেয়াল রাখতে হবে কাঠবাদামগুলো যেন পানির মধ্যে সম্পূর্ণ থাকে। বাদামের আর্দ্রতা বজায় রাখতে, ব্যাক্টেরিয়া বা ছত্রাকের সংক্রমণ রুখতে এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। 
  • কাঠ বাদামে কি পুষ্টিগুন পাবেনঃ ভিটামিন ই, ক্যালসিয়া, সেলেনিয়াম, কপার, ম্যাগনেসিয়াম, এবং রিবোফ্লাভিন আছে বাদামে। এছাড়া রয়েছে আয়রন, পটাসিয়াম, জিঙ্ক এবং বি ভিটামিন, নিয়াসিন, থায়ামিন এবং ফোলেটের মতো পুষ্টিগুণ। কাঠবাদামে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন এবং ফাইবারে ভরপুর। 
  • কীভাবে খাবেনঃ বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাদাম হজম করা কঠিন।এতে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন এবং ফাইবার রয়েছে। ফলে বাদাম খেলে শরীর গরম হয়ে ওঠে। তাই বাদাম ভিজিয়ে খাওয়া ভালো।যখনই খাবেন ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। ভিজিয়ে রাখলে তাপ অনেকটা কমে যায়।সেই সঙ্গে ফাইটিক অ্যাসিড বা ট্যানিন অপসারিত হয়। ভেজানো বাদাম খেলে সহজেই পুষ্টিগুণ নিতে সক্ষম হয় শরীর। হজম তাড়াতাড়ি হয়। বদহজমের সমস্যা হয় না। ভিজিয়ে খেতে অপছন্দ হলে শুকনো বাদামই গুঁড়া করে খেতে পারেন।ভেজানো বাদাম থেকে ফাইবার, প্রোটিন, বিটামিন ই, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাস ইত্যাদি পুষ্টিগুণ সহজে আপনার শরীর শুষে নিতে পারে। বাদাম ভিজিয়ে খেলে মস্তিষ্কও সক্রিয় হয়ে ওঠে। স্মৃতিশক্তি বাড়ে। উজ্জ্বল ত্বকের জন্য বাদাম ভিজিয়ে খেতে পারেন। এমনটাই মনে করছেন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞরা।
  •  কি পরিমাণে বাদাম খেতে পারবেনঃ কাঠ বাদামে ৮০ শতাংশ চর্বি আছে চর্বি হজম হতে অনেক সময় লাগে। বেশি পরিমাণে খেলে বদহজম, পেট ফাঁপা এমনকি ডায়রিয়াও হতে পারে। প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ টা কাঠ বাদাম খেতে পারেন। 

লেখকের মন্তব্য 

প্রিয় পাঠক আশা করি ভালো আছেন প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এছাড়াও কিভাবে কাঠবাদাম খেলে পুষ্টিগুন পাওয়া যায় সে সম্পর্কে ও বিস্তারিত অবগত হয়েছেন। তবে আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই কাঠবাদামের কতগুলো পুষ্টি গুনে ভরপুর উপরিক্ত নিয়ম গুলো মেনে কাঠবাদাম খেলে অনেক উপকৃত হবেন। এতক্ষন আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 এইরকম তথ্যবহুল বা আপনার উপকারের আসে এমন আর্টিকেল পেতে অরোরা ব্লগ এর সাথেই থাকুন। নিজে ভালো ভালো থাকুন অন্য কেউ ভালো রাখুন। পৃথিবী হোক সুন্দর ময় আর এই আর্টিকেলটি যদি আপনার এতোটুকু ভালো লেগে থাকে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আর আপনার যদি কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url